নগরীর জামালখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ও ছবি ভাঙচুরের ঘটনায় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ৬৩৮ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
বুধবার (১৪ জুন) রাতে নগরের কোতোয়ালী ও চকবাজার থানা এলাকায় মামলা দুটি করা হয়। এ ঘটনায় নগর ছাত্রদলের সাবেক এক নেতাকে অস্ত্রসহ ২৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এর আগে, ১৪ জুন বুধবার নগরের কাজির দেউড়ি মোড়ে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় তারুণ্যের সমাবেশ। অভিযোগ উঠেছে, সমাবেশে যাওয়ার সময় যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা জামালখানে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল, ছবি ভাঙচুর করেন। এর আগে চট্টগ্রাম কলেজের সামনে তাদের সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়।
তবে অবাক করার বিষয় হলো, নগর যুবলীগের নব গঠিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলমের সাথে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সরব থাকা বাকলিয়া অছি মিয়া রোড এলাকার মোঃ সায়মন নামের এক ছাত্রলীগ কর্মীর নাম এই ভাংচুর মামলায় অন্তর্ভুক্ত হয়।
এলাকার সুত্রে জানা যায়, মোঃ সায়মন দীর্ঘ বহুবছর যাবৎ ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত এবং উক্ত ঘটনার দিনও সায়মন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নিতে নগর যুবলীগ সাঃ সম্পাদক দিদারুল আলমের সাথে থাকার একাধিক ছবি মিলেছে।
এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে জানা যায় আওয়ামী রাজনৈতিক কর্মসূচি’তে সরব থাকা সায়মনের নাম মামলায় কিভাবে এবং কেন এসেছে তা খতিয়ে দেখা অতি জরুরি। সাবেক নগর ছাত্রলীগ নেতা এম মাহমুদ রণির কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সায়মন বাকলিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। এভাবে নিজেদের কর্মী বিরোধী দলের মামলার আসামি হওয়াটা খুবই দুঃখজনক। তদন্ত সাপেক্ষে এইভাবে কারও নাম যদি এসেও থাকে তা বাদ দেওয়া দরকার।
প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন উল্লেখিত সময়েও সায়মন নগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলমের সাথে ছিলো।
সিএমপির জনসংযোগ কর্মকর্তা এডিসি স্পিনা রানী প্রমাণিক বলেন, দুই মামলায় অভিযানে ২৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। নগরের কোতোয়ালী, বাকলিয়া, চান্দগাঁও ও চকবাজার থানা পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।