চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলা, মহানগরীর চান্দগাঁও ও পাঁচলাইশের কিছু অংশ নিয়ে চট্টগ্রাম-৮ সংসদীয় আসন গঠিত। এ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মোছলেম উদ্দিন আহমেদের মৃত্যুর পর পরই দলের তৃণমূলসহ নানা ফোরামে নৌকা প্রতীক কে পাচ্ছেন, তা নিয়ে চলছে নানান গুঞ্জন।
আসনটি শূন্য হওয়ার পর থেকেই নৌকার কান্ডারি কে হচ্ছেন, কারা আলোচনায় আছেন, কেমন নেতা দলীয় মনোনয়ন পেতে পারেন—এমন আলোচনা বেশ জমে উঠেছে। আলোচনায় রয়েছেন নানান যোগ্যতা সম্পন্ন, ত্যাগী নির্যাতিত-অবহেলিত নেতা সহ প্রবীণ থেকে শুরু করে তরুণ নেতাদের নাম।
আলোচনায় আছেন, নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোছলেম উদ্দিন আহমেদের স্ত্রী শিরিন আহমেদ, সাবেক মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি, সাবেক সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, ব্যারিষ্টার এস.এম কফিল উদ্দিন, সাবেক সাংসদ মাঈনুদ্দীন খান বাদলের স্ত্রী সেলিনা খান বাদল।
মনোনয়ন দৌড়ে কতটুকু আশাবাদী জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, চট্টগ্রাম-৮ চান্দগাঁও ও বোয়ালখালী নিয়ে এ আসন। এর মধ্যে ৬৫ শতাংশ ভোটারই নগরের। বাকি ৩৫ শতাংশ ভোটার বোয়ালখালীর। তবে প্রধানমন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত দেবেন, আমি সেই সিদ্ধান্ত মেনে নিবো।
দলের মনোনয়নে পূর্ণ আস্থা রয়েছে বলে জানান নৌকা প্রতীক প্রত্যাশী ব্যারিষ্টার এস.এম কফিল উদ্দিন। তিনি বলেন, বোয়ালখালী বাসীর তথা দক্ষিণ চট্টগ্রামের যে দুঃখ কালুরঘাট সেতু আশা করি আল্লাহ যদি আমাকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেন এবং আমি নির্বাচিত হলে এই সেতু করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাবো। চট্টগ্রাম-৮ আসনের কোন মানুষ যেন নির্যাতিত না হয়, অন্যায়ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সবাই যেন সুবিচার পায় সেটা আমি নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। এছাড়া স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে আমার নির্বাচবী এলাকায় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করবো ইনশাআল্লাহ। এছাড়া নৌকা প্রতীক প্রত্যাশী সেলিনা খান বাদল বলেন, বিগত উপনির্বাচনেও চট্টগ্রাম-৮ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশা করছিলাম। দল থেকে মোছলেম উদ্দিনকে মনোনয়ন দেওয়া হলে তাঁকে সমর্থন দিয়েছি। আমি জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলাম, এখনও আছি। যদি জনগণ আমাকে চায় এবং নেত্রী যদি আমাকে সুযোগ দেন, আমি মানুষের সেবায় কাজ করবো।
এ আসনে ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৪৮৫ ভোটার আছেন। এর মধ্যে ২ লাখ ৪১ হাজার ১৯৮ পুরুষ এবং ২ লাখ ৩৩ হাজার ২৮৭ নারী।