বুধবার (১০ নভেম্বর) ঢাকায় একটি অনুষ্ঠানে সানেমের জরিপ প্রকাশ করে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক এবং অর্থনীতিবিদ সেলিম রায়হান বলেন, ব্যবসায় আস্থা সংক্রান্ত ষষ্ঠ পর্যায়ের এই জরিপ সাম্প্রতিক জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির আগে করা হয়েছে। তাই জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি। তবে তার আশঙ্কা, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়বে। এতে দরিদ্র জনগোষ্ঠী চাপে পড়বে।
সেলিম রায়হান জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর বিকল্প হিসেবে করোনার সময়ে যেভাবে প্রণোদেনা দেওয়া হয়েছিল সেভাবেই এই খাতে প্রণোদনা দেওয়ার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, দাম না বাড়িয়ে সরকারের উচিত ছিল এই খাতে ভর্তুকি দেওয়া। দাম বাড়ানোর ফলে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাবে। এতে করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষতির সম্মুখীন হবে বলে জানায় সানেমের পরিচালক সেলিম রায়হান।
করোনার সময়ের ক্ষতি কাটিয়ে সবেমাত্র উঠে দাঁড়াতে শুরু করেছে বাংলাদেশের ব্যবসা খাত। এরই মধ্যে জ্বালানি তেলের দাম লিটারপ্রতি ১৫ টাকা বৃদ্ধিতে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। এ ব্যাপারে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সানেমের গবেষণা অনুযায়ী, দেশের ব্যবসা খাতসমূহ পিছিয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা যায়।
জরিপে দেখা যায়, সব খাতের পুনরুদ্ধার একই হারে হচ্ছে না। যোগাযোগ, হালকা প্রকৌশল, পর্যটন, টেক্সটাইল, তৈরি পোশাক, তথ্যপ্রযুক্তি ইত্যাদি অন্য খাতগুলোর চেয়ে ভালো করছে। এমনকি নিকট ভবিষ্যতে তারা আরও ভালো করার আশা প্রকাশ করেছে। জরিপ অনুযায়ী সামগ্রিকভাবে ছোট প্রতিষ্ঠান বড় প্রতিষ্ঠানের তুলনায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশের আট বিভাগের ৩৭টি জেলার মোট ৫০০টি ক্ষুদ্র, ছোট, মাঝারি ও বড় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ওপর এই জরিপ করা হয়েছে।






