দরপতনের বৃত্তে থেকে বের হতে পারছে না দেশের শেয়ারবাজার। সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার (১ ডিসেম্বর) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ঢালাও দরপতন হয়েছে। এতে মূল্যসূচকের বড় পতন হয়েছে। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।
অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)-ও বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। এতে কমেছে সবকটি মূল্যসূচক। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।
এদিন ডিএসইতে লেনদেন শুরু হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমে যায়। লেনদেনের সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে দাম কমার তালিকা বড় হয়। ফলে বড় দরপতন দিয়েই দিনের লেনদেন শেষ হয়।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে মাত্র ৩৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ৩২২টির। আর ২৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
ভালো কোম্পানি বা ১০ শতাংশ অথবা তার বেশি লভ্যাংশ দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১১টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে ১৮৮টির দাম কমেছে এবং ১৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। মাঝারি মানের বা ১০ শতাংশের কম লভ্যাংশ দেওয়া ১৩টি কোম্পানির শেয়ার দাম বাড়ার বিপরীতে ৬১টির দাম কমেছে এবং ৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ না দেওয়ার কারণে ‘জেড’ গ্রুপে স্থান হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ১৪টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৭৩টির এবং ৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। আর তালিকাভুক্ত ৩৫টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ২টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে ২৩টির দাম কমেছে এবং ১০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৬৪ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৯১৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১৬ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ২১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৮৯৫ পয়েন্টে নেমে গেছে।
সবকটি মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪১৫ কোটি ৯০ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৪৯২ কোটি ৫৪ টাকা। এ হিসাবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন কমেছে ৭৬ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।
এই লেনদেনে সব থেকে বড় ভূমিকা রেখেছে সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার। কোম্পানিটির ২২ কোটি ৪২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৮ কোটি ৫৫ লাখ টাকার। ১৩ কোটি ২৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ডমিনেজ স্টিল বিল্ডিং।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, ইনটেক, রহিমা ফুড, একমি পেস্টিসাইজ, সোনালী পেপার, মুন্নু ফেব্রিক্স এবং বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার।
অন্য শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ১২৩ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮২ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪০টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৩১টির এবং ১১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৩ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
প্রদা/ডিও





