চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে মোটরসাইকেল করে আসা অস্ত্রধারীদের ছোড়া গুলিতে মুহাম্মদ আবদুল হাকিম (৫২) নামের এক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। এ সময় তিনি প্রাইভেট কারে চড়ে রাউজান থেকে চট্টগ্রামে ফিরছিলেন। নিহত আবদুল হাকিম রাউজানে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। হামলার ঘটনায় তাঁর সঙ্গে গাড়িতে থাকা আরও এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হন।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে উপজেলার দক্ষিণ মাদার্শা ইউনিয়নের মদুনাঘাট বাজারের পানি শোধনাগার মূল ফটকের সামনে।
নিহত আবদুল হাকিম রাউজানের বাগোয়ান ইউনিয়নের পাঁচখাইন গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ২০২৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর রাউজানের বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হন। তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী ছিলেন। তবে দলীয় কোনো পদ ছিল না। নিহত আবদুল হাকিম ভেষজ পণ্যের ব্যবসা করতেন। পাশাপাশি গরুর খামারি ছিলেন। এ ছাড়া এক বছর ধরে কর্ণফুলী নদী থেকে বালু উত্তোলনের ব্যবসাও করছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ বিকেল পাঁচটার দিকে মুহাম্মদ আবদুল হাকিম তাঁর গ্রামের খামারবাড়ি থেকে অপর একজনসহ তাঁর ব্যক্তিগত গাড়িতে করে কাপ্তাই সড়ক হয়ে চট্টগ্রাম নগরের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় তিনি চালকের পাশের আসনে বসা ছিলেন। মদুনাঘাট এলাকায় পৌঁছালে একদল মোটরসাইকেল আরোহী অস্ত্রধারী তাঁর গাড়ির পিছু নেয়। এরপর পানি শোধনাগার এলাকায় পৌঁছালে তাঁরা আবদুল হাকিমের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি করতে থাকেন। এ সময় দুজন গুলিবিদ্ধ হন। অপরজনের পরিচয় জানা যায়নি। স্থানীয়রা গুলিবিদ্ধ দুজনকে উদ্ধার করে নগরের বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবদুল হাকিমকে মৃত ঘোষণা করেন।
উল্লেখ্য, রাউজানে গত ৫ আগস্টের পর সহিংসতায় মোট ১৩টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে ১০টি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড। বিএনপির দুই পক্ষে সংঘর্ষ হয় অন্তত শতাধিকবার। ৩০০-এর বেশি মানুষ এসব ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হন।
প্রদা/ডিও