বিদেশি ক্রেতাদের চাহিদা কমে আসায় চট্টগ্রামের পোশাক খাতে অর্ডার সংকট দেখা দিয়েছে। এতে উৎপাদন কমে যাচ্ছে, ঝুঁকিতে পড়ছে কর্মসংস্থান।
চট্টগ্রামের গার্মেন্টস শিল্প দীর্ঘদিন ধরেই দেশের রপ্তানি আয়ের অন্যতম প্রধান খাত। কিন্তু গত ৬ থেকে ৮ মাসে পোশাক খাতে নতুন অর্ডার আশানুরূপ আসছে না। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা, ক্রেতাদের ব্যয় সংকোচন, কাঁচামালের উচ্চমূল্য এবং দেশে ডলার সংকটের কারণে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ) চট্টগ্রাম অঞ্চলের নেতাদের দাবি, আগের তুলনায় বর্তমানে অন্তত ২০ থেকে ৩০ শতাংশ কম অর্ডার আসছে। এতে অনেক কারখানা অর্ধেক সক্ষমতায় উৎপাদন চালাচ্ছে।
একজন গার্মেন্টস মালিক জানান, “আগে আমাদের প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্ডার থাকত, এখন সেটা প্রায় অর্ধেক হয়ে গেছে। উৎপাদন কমে গেলে কারখানা চালানো কঠিন হয়ে পড়ে।”
এ অবস্থায় শ্রমিকদের কাজের সময়ও কমানো হচ্ছে। যদিও এখন পর্যন্ত বড় ধরনের ছাঁটাই হয়নি, তবে অর্ডার সংকট দীর্ঘস্থায়ী হলে কর্মসংস্থানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিজিএমইএ নেতারা বলছেন, পরিস্থিতি সামাল দিতে নতুন বাজার খোঁজা ও বিদ্যমান বাজারে প্রতিযোগিতা বাড়ানো জরুরি। একই সঙ্গে ডলার সংকট সমাধান ও ব্যবসাবান্ধব নীতি গ্রহণে সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন।
প্রদা/ডিও