চট্টগ্রামের বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি সাধারণ মানুষের কষ্ট বাড়াচ্ছে। সরকারি পরিসংখানে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমলেও নাগরিকদের দৈনন্দিন জীবনে তেমন প্রভাব পড়েনি।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংস্থা ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, আগস্টে জাতীয় সাধারণ মূল্যস্ফীতি কমে ৫.২% হলেও চট্টগ্রামের বাজারে নিত্যপণ্যের দাম এখনও উচ্চ। বিশেষ করে পেঁয়াজ, ডাল, তেল ও সবজির দাম গত কয়েক মাস ধরে স্থিতিশীল নয়।
নির্দিষ্ট দামের তুলনা:
-
পেঁয়াজ: আগস্টে ১০০ টাকা/কেজি, আগের মাসে ৯০ টাকা
-
ডাল: ১২০ টাকা/কেজি, আগের মাসে ১১৫ টাকা
-
সয়াবিন তেল: ২২০ টাকা/লিটার, আগের মাসে ২১০ টাকা
-
সবজি: গড়ে ৫-১০% ঊর্ধ্বগতি
চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা বলছেন, “সরকারি পরিসংখানে দাম কমেছে বলা হলেও খুচরা বাজারে দাম এখনও বেশি। সরবরাহের ঘাটতি ও লজিস্টিক খরচ বৃদ্ধিই মূল কারণ।”
নাগরিকরা অভিযোগ করেছেন, “মাসের শুরুতে বাজারে গেলেও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম আমাদের জন্য বোঝা হয়ে আছে। বাড়িতে বাজেট সামলানো কঠিন হচ্ছে।”
অর্থনীতিবিদরা মনে করাচ্ছেন, স্থিতিশীলতার জন্য সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নতি, স্থানীয় পর্যায়ে মূল্য নিয়ন্ত্রণ এবং ট্রান্সপোর্ট খরচ কমানো জরুরি।
চট্টগ্রাম বাণিজ্যিক কেন্দ্রের বিশেষজ্ঞরা আরও বলেন, “মূল্যস্ফীতি পরিসংখানে কম দেখালেও বাস্তব জীবনে নাগরিকদের ওপর প্রভাব কমাতে হবে। সরকারকে বাজার পর্যবেক্ষণ ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।”
চট্টগ্রামের নাগরিকদের দৈনন্দিন জীবনে মূল্যস্ফীতির প্রভাব এখনো অনুভূত হচ্ছে। বাজার স্থিতিশীল করতে এবং সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা রক্ষা করতে কার্যকর নীতিমালা গ্রহণ জরুরি।
প্রদা/ডিও