বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক প্রধান এম হারুন-অর-রশীদ মৃত্যুর আগে তার চোখ স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘সন্ধানী’তে দান করার অঙ্গীকার করে গেছেন।
সোমবার (৪ আগস্ট) চট্টগ্রাম ক্লাব থেকে মরদেহ উদ্ধার করার সময় হারুনের ফুফাতো বোন মেরিন সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. নাজিবুর নাহার সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
হারুনের মরদেহ চট্টগ্রামের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) নিয়ে যাওয়া হয়েছে জানিয়ে নাজিবুর নাহার বলেন, সেনাবাহিনীর কর্মকর্তার মাধ্যমে জানতে পেরেছি, হারুন-অর-রশীদ চোখ সন্ধানীতে দান করার অঙ্গীকার করেছেন।
তিনি আরও বলেন, সেনাবাহিনীর আনুষ্ঠানিকতা শেষে আমাদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। হাটহাজারী উপজেলায় পারিবারিক কবরস্থানে হারুন-অর-রশীদকে দাফন করা হবে।
সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম ক্লাবের একটি কক্ষে সাবেক এ সেনাপ্রধানের মরদেহ পাওয়া যায়।
পুলিশ,পরিবার ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, একটি মামলার কাজে রোববার (৩ আগস্ট) তিনি চট্টগ্রাম আসেন। এরপর ওঠেন চট্টগ্রাম ক্লাবে। রাতে ঘুমানোর পর সোমবার দুপুর পর্যন্ত তিনি বের না হওয়ায় অনেক ডাকাডাকির পরও সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে তাকে মৃত পড়ে থাকতে দেখেন স্টাফরা। এরপর খবর দেওয়া হয় পুলিশকে।
হারুন অর রশীদ ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি ২০০০-২০০২ পর্যন্ত সেনাবাহিনীর প্রধান ছিলেন। পালন করেন রাষ্ট্রদূতের দায়িত্বও।