চট্টগ্রামে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৭ (র্যাব-৭) এর অভিযানে পৃথক তিনটি এলাকা চট্টগ্রাম মহানগরীর কতোয়ালী, চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড ও ফিটকছিড় থানা থেকে পলাতক তিন প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
শনিবার (২৮ জুন) চট্টগ্রাম র্যাব-৭ এর পৃথক পৃথক তিনটি আভিযানিক দল এ অভিযান গুলো পরিচালনা করেন।
অভিযানে গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন ফেনী জেলার সিরাজুল ইসলাম, চট্টগ্রামের আবুল হোসেন এবং নোয়াখালীর জাহেদ হাসান।
সিরাজুল ইসলামকে ফেনী জেলার সোনাগাজী মেডল থানার মামলা নং-১৩, তারিখ ২৬ জুন ২০২৫ ইং, ধারাঃ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ ( সং-২০০৩ এবং ২০২৫ এর সংশোধনী অধ্যাদেশ ) এর ৯ এর (৪)(খ) মামলার ০১নং এজাহারনামীয় পলাতক আসামী হিসেবে চট্টগ্রাম মহানগরীর কতোয়ালী থানাধীন মোমিন রোড এলাকা থেকে গ্রেফতার করে র্যাব। আসামী সিরাজুল ইসলাম প্রকাশ মাষ্টার (৩৫), পিতা-মৃত অজিউল্লাহ মাঝি, সাং-উত্তর চর দরবেশ, থানা-সোনাগাজী, জেলা-ফেনী এর বাসিন্দা।
আবুল হোসেনকে চট্টগ্রাম মহানগরীর পতেঙ্গা মেডল থানার মামলা নং-১৫, তারিখ ১৩ মার্চ ২০২৪ ইং, ধারাঃ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী-২০২০) এর ৯ (১) মামলায় এজাহারনামীয় পলাতক প্রধান আসামী হিসেবে চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড থানাধীন বড় কুমিড়া বাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করে র্যাব। আসামী আবুল হোসেন প্রকাশ ইমন (২৭), পিতা-আবু জাফর, সাং-মতিউর রহমান কামলা বাড়ি, থানা-মিরসরাই, জেলা চট্টগ্রাম এর বাসিন্দা।
জাহেদ হাসানকে নোয়াখালী জেলার হাতিয়া থানার মামলা নং-২৮, তারিখ-২৬ জুন ২০২৫ ইং, ধারাঃ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ ( সং-২০০৩ এবং ২০২৫ এর সংশোধনী অধ্যাদেশ ) এর ৭/৯(১)/৩০ তৎসহ ৩২৫/৩১৩/৩৭৯/৫০৬ পেনাল কোড মামলার অপহরণ চক্রের মূল হোতা এবং ধর্ষক মামলার আসামী হিসেবে চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি থানাধীন ভক্তপুর ইউপির সাঁকোতলা বাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। আসামী জাহেদ হাসান (৩৭), পিতা-জাহাঙ্গীর আলম, সাং-চরফকির, থানা-হাতিয়া, জেলা-নোয়াখালী এর বাসিন্দা।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের পর কোতোয়ালি, সীতাকুণ্ড ও ফটিকছড়ি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।