শেয়ারবাজার থেকে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর (ব্যাট) শেয়ারের দাম এক দিনের মাথায় সম্মিলিতভাবে কমেছে ৯১৮ কোটি টাকা।
গত বছরের শেষদিনে কোম্পানিটি বিগত ১২ বছরের হিসাবে সব থেকে কম লভ্যাংশ ঘোষণা করvq বিনিয়োগকারীরা হতাশ হয়ে পড়েছেন।
১০ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী গতিধারা থাকলেও বড় রকমের দরপতনের সম্মুখীন হয়েছে ব্যাট।
প্রতিষ্ঠানটি ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর করোনাসময়ের মধ্যেও চূড়ান্ত লভ্যাংশ হিসেবে বিনিয়োগকারীদের নগদ ৩০০ শতাংশ ও বোনাস ২০০ শতাংশ শেয়ার দেয়। তার আগে প্রতিষ্ঠানটি ৩০০ শতাংশ অন্তর্বর্তী লভ্যাংশ দেয়।
বড় লভ্যাংশ ঘোষণার ফলে ২০২১ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি কোম্পানিটির শেয়ার দাম সম্মিলিতভাবে বাড়ে ৩ হাজার ৪৩০ কোটি টাকা। অবশ্য শুধু ২০২০ সালের জন্য নয়, তার আগেও নিয়মিত বড় লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি।
কোম্পানিটি ২০১৯ সালে শেয়ারহোল্ডারদের ৪০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়। তার আগে ২০১৮ সালে ৫০০ শতাংশ নগদ ও ২০০ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দেয়। এ ছাড়া কোম্পানিটি ২০১৭ ও ২০১৬ সালে ৬০০ শতাংশ নগদ এবং ২০১৫ সালে ৫৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় বিনিয়োগকারীদের আস্থার জায়গায় পরিণত হয় ব্যাট টানা লভ্যাংশ দেওয়ার কারণে। কিন্তু ব্যাটে বিনিয়োগ করা সংশ্লিষ্টরা হতাশ হয়ে পড়েন কোম্পানিটি গত বছর তাদের বিনিয়োগকারীদের সর্বনিম্ন লভ্যাংশ দেওয়ায়।
বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ব্যাটের একটি শেয়ারমূল¨ ছিল ৬৪৪ টাকা ৫০ পয়সা। কিন্তু বৃহস্পতিবার দিনের শুরুতেই দাম নেমে এসে দাঁড়ায় ৬৩৫ টাকায়। দিনের মধ্যভাগে শেয়ারের দাম দাঁড়ায় ৬০৫ টাকায়। যদিও দিনশেষে দাম কিছুটা বেড়ে দাঁড়ায় ৬২৭ টাকা ৫০ পয়সায়। ততক্ষণে সম্মিলিতভাবে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম কমে গেছে ৯৮১ কোটি টাকা।
৫৪০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধনের এ কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ৭২ দশমিক ৯১ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে। বাকি শেয়ারের মধ্যে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে ৬ দশমিক ৪১ শতাংশ।
এছাড়া ৮ দশমিক ১০ শতাংশ বিদেশিদের কাছে এবং ১১ দশমিক ৯৪ শতাংশ শেয়ার আছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে। শূন্য দশমিক ৬৪ শতাংশ শেয়ার।
শূন্য দশমিক ৬৪ শতাংশ শেয়ার আছে সরকারের কাছে