ময়মনসিংহের ভালুকায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগে দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় আরও দুই আসামি গ্রেপ্তার হয়েছেন।গ্রেপ্তাররা হলেন- আশিকুর রহমান (২৫) ও কাইয়ুম (২৫)।রোববার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কার্যালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।এর আগে শনিবার (২০ ডিসেম্বর) ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ী ইউনিয়নের কাশর এলাকা থেকে আশিকুর ও কাইয়ুমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।অবমাননার অভিযোগে দিপুকে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও পুলিশের পৃথক অভিযানে এখন পযর্ন্ত গ্রেপ্তার হয়েছেন মোট ১২ জন। তাদের মধ্যে তিনজনের বিরুদ্ধে পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। সোমবার (২২ ডিসেম্বর) ভালুকা আমলি আদালতে এই রিমান্ড শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন জেলার আদালত পরিদর্শক (ওসি) পীরজাদা শেখ মো. মোস্তাছিনুর রহমান।এদিকে গত ১৮ ডিসেম্বর রাতে ভালুকার জামিরদিয়া এলাকার পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস বিডি লিমিটেড কারখানায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগে দিপু চন্দ্র দাসকে পিটিয়ে এবং আগুন ধরিয়ে হত্যা করে উত্তেজিত জনতা।এ ঘটনায় ১৯ ডিসেম্বর নিহতের ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে ভালুকা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।এ বিষয়ে ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেন, অপরাধ করলেও আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার কারও নেই। কেন ওই যুবককে পুলিশের হাতে না দিয়ে জনতার হাতে তুলে দেওয়া হলো, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় ইতোমধ্যে র্যাব ও পুলিশের অভিযানে অনেকেই গ্রেপ্তার হয়েছেন।বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।নিহতের বাবা রবি চন্দ্র দাস ও বোন চম্পা দাসের দাবি, পূর্ব বিরোধের জেরে পরিকল্পিতভাবে দিপুকে মিথ্যা অপবাদে হত্যা করা হয়েছে। তাদের দাবি- দিপু শিক্ষিত এবং ধর্ম সচেতন ছিলেন। তিনি এমন কাজ (ধর্ম অবমাননা) করতে পারেন না।নিহত দিপু চন্দ্র দাস জেলার তারাকান্দা উপজেলার মোকামিয়া কান্দা গ্রামের রবি চন্দ্র দাসের ছেলে।দুই বছর ধরে তিনি ওই কারখানাটিতে কর্মরত ছিলেন।প্রদা/ডিও