ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা–৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরীফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে সারা দেশে ছাত্র-জনতা বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেছে। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসার সঙ্গে সঙ্গে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা উত্তাল হয়ে ওঠে।
ঝালকাঠি ও পিরোজপুরে বিক্ষোভ:
ঝালকাঠিতে মহাসড়কে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে এনসিপি, নাগরিক অধিকার সংগঠনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও শ্রেণিপেশার মানুষ। পিরোজপুরে সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য পরিষদ বিক্ষোভ মিছিল বের করে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। বক্তারা দ্রুত হাদির হত্যাকারীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
কিশোরগঞ্জ ও লক্ষ্মীপুরে আন্দোলন:
কিশোরগঞ্জে শহীদি মসজিদের সামনে থেকে মিছিল শুরু হয়ে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে অবরোধে পরিণত হয়। লক্ষ্মীপুরে উত্তর তেমুহনী ট্রাফিক চত্বর এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা ‘হাদি ভাইর রক্ত, বৃথা যেতে দেব না’ এবং ‘ভারতের দালালেরা, হুশিয়ার সাবধান’ স্লোগান দেন।
গাজীপুর ও রাজধানীতে বিক্ষোভ:
গাজীপুরে ডুয়েট শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন সংগঠন সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। ঢাকায় শিমুলতলী সড়ক ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধে যান চলাচল বন্ধ থাকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও শাহবাগ এলাকায় হাজার হাজার ছাত্র-জনতা বিক্ষোভে অংশ নেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
শরীফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ইসলামী ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা। রাত পৌনে ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্টে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। এরপর সোহরাওয়ার্দী হল, আলাওল হল হয়ে দুই নম্বর গেইটে বক্তব্যের মাধ্যমে বিক্ষোভ মিছিল শেষ করেন নেতাকর্মীরা।
বিক্ষোভকারীদের দাবি:
বিক্ষোভকারীরা হাদির হত্যার দায়ীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন। তারা বলেন, “শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যু ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলনের প্রতীক হয়ে থাকবে। দেশের মানুষ আর এসব নৃশংসতা মেনে নেবে না।”
শরীফ ওসমান হাদি ১২ ডিসেম্বর বিজয়নগরের বক্স-কালভার্ট এলাকায় মোটরসাইকেল থেকে গুলিবিদ্ধ হন। গুরুতর অবস্থায় প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য ১৫ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর তিনি মারা যান।
প্রদা/ডিও





