ইকুয়েডরের জাতীয় দলে খেলা ফুটবলার মারিও পিনেইদা গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে তার ক্লাব। ৩৩ বছর বয়েসী এই ফুটবলারকে মোটরবাইকে করে এসে গুলি করা হয়।
বুধবার ইকুয়েডরের বন্দরনগরী গুয়াকিলে এই ঘটনা ঘটে। মাদক পাচারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গ্যাং সহিংসতার হটস্পটে পরিণত হয়েছে গুয়াকিল। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ইকুয়েডরের একাধিক ফুটবলার এই সহিংসতার শিকার হয়েছেন।
পিনেইদা ২০১৮ ও ২০২২ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ইকুয়েডরের জাতীয় দলের হয়ে খেলেছিলেন। তবে কাতারে অনুষ্ঠিত ২০২২ বিশ্বকাপের চূড়ান্ত দলে তিনি সুযোগ পাননি। ২০২২ সালে তিনি ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্লুমিনেন্সের হয়েও খেলেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে তার ক্লাব বার্সেলোনা এসসি জানায়, ‘গভীর দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে গুয়াকিলে তার ওপর হামলার পর আমাদের খেলোয়াড় মারিও পিনেইদার মৃত্যুর বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে।’
ইকুয়েডরের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও পিনেইদার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে এবং জানিয়েছে, এই ঘটনায় একটি বিশেষ পুলিশ ইউনিট নিয়োজিত করা হয়েছে। ডিজিটাল সংবাদমাধ্যম প্রিমিসিয়াস জানায়, মোটরসাইকেলে আসা দুই ব্যক্তি পিনেইদা, তার মা এবং আরেক নারীর ওপর গুলি চালায়।
গত সেপ্টেম্বর মাসে ইকুয়েডরের দ্বিতীয় বিভাগের তিনজন ফুটবলার নিহত হন, যাদের একজনের বিরুদ্ধে বাজির সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ ছিল। এক মাস পর স্থানীয় ফুটবলার ব্রায়ান আংগুলা গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন।
একসময় লাতিন আমেরিকার সবচেয়ে নিরাপদ দেশগুলোর একটি হিসেবে পরিচিত ইকুয়েডর এখন বিশ্বের শীর্ষ কোকেন উৎপাদনকারী দেশ কলম্বিয়া ও পেরুর মধ্যবর্তী একটি গুরুত্বপূর্ণ পাচার কেন্দ্র হয়ে উঠেছে।
গুয়াকিলে গাড়িবোমা হামলা, গুলিবর্ষণ ও চাঁদাবাজির ঘটনা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে শহরটিতে ১,৯০০টি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে—যা ইকুয়েডরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
প্রদা/ডিও






