নগরের দীর্ঘদিনের যানজট সমস্যা নিরসনে মনোরেল প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেছেন সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) টাইগারপাসের চসিক কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ সহযোগিতা চান মেয়র। সভায় উপস্থিত ছিলেন গ্রেটার চিটাগাং ইকোনমিক ফোরামের প্রেসিডেন্ট আমীর হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী।
এর ধারাবাহিকতায় গত ১০ সেপ্টেম্বর বিডা স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে সহযোগিতা চেয়ে চিঠি দেয়। পরবর্তীতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে ২১ অক্টোবর চসিককে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়। সর্বশেষ ১৬ নভেম্বর বিডা সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ে তাগাদা পত্র দেয়।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী মনোরেল প্রকল্পে আন্তর্জাতিক মানের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন বাংলাদেশি বিশেষজ্ঞ অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, দেশের অবকাঠামোগত চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে ধারণাসম্পন্ন বিশেষজ্ঞ যুক্ত হলে প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।
জলাবদ্ধতা প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, বিভিন্ন সংস্থার সমন্বিত উদ্যোগে চলতি বছরে নগরের জলাবদ্ধতা প্রায় ৬০ শতাংশ কমানো সম্ভব হয়েছে। তবে স্থায়ী সমাধানের জন্য নগরের ২১টি খাল খনন ও সংস্কারের জন্য একটি ডিপিপি প্রণয়ন করা হয়েছে। প্রকল্পটি অনুমোদিত হলে চট্টগ্রাম নগরের জলাবদ্ধতা সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে।
মেয়র নগরের ডোর-টু-ডোর বর্জ্য সংগ্রহ কার্যক্রমের অগ্রগতির কথাও তুলে ধরেন। তিনি জানান, ৪১টি ওয়ার্ডে প্রতিনিধি নিয়োগের ফলে প্রতিদিন অতিরিক্ত প্রায় ৫০০ টন বর্জ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হচ্ছে। ভবিষ্যতে এ সেবা বিনামূল্যে করার লক্ষ্যে একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।
যা বাস্তবায়নে সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
সভায় উপস্থিত ছিলেন চসিকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিব মো. আশরাফুল আমিন, প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির চৌধুরী এবং তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবু সাদাত মো. তৈয়ব।
প্রদা/ডিও







