বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা গত কয়েক দিনে আরও অবনতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলের শীর্ষ নেতারা। সোমবার দুপুরে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান বলেন, ‘সিসিইউ থেকে আইসিইউ, আইসিইউ থেকে ভেন্টিলেশন, যা-ই বলি না কেন, ম্যাডাম খুব ক্রিটিক্যাল কন্ডিশনে আছেন। এর বাইরে বলার মতো কিছু নেই। শুধু ম্যাডামের জন্য জাতির কাছে দোয়া চাই।’
এর আগে চেয়ারপারসনের সাবেক প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সোহেল ফেসবুকে সংক্ষিপ্ত এক স্ট্যাটাসে জানান, ‘ম্যাডামকে আইসিইউতে ভেন্টিলেশনে সাপোর্ট দেওয়া হচ্ছে। আল্লাহর বিশেষ রহমত প্রার্থনা করি।’
এই পোস্ট ছড়িয়ে পড়ার পর দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে উদ্বেগ আরও বাড়ে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, চেয়ারপারসনের স্বাস্থ্য-সংক্রান্ত সব সিদ্ধান্ত চিকিৎসকেরা নিয়ে থাকেন। ‘চিকিৎসকেরা আনুষ্ঠানিকভাবে যে মুহূর্তে কোনো তথ্য দেবেন, আমরা তা জানিয়ে দেবো। এর বাইরে কোনো সূত্র থেকে তথ্য প্রকাশ না করার জন্য গণমাধ্যমের প্রতি বিশেষ অনুরোধ করছি,’ বলেন তিনি।
শায়রুল আরও জানান, খালেদা জিয়ার চিকিৎসা সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য তথ্য দিতে গণমাধ্যমকে অনুরোধ করা হয়েছে।
‘ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ. জেড. এম. জাহিদ হোসেন ছাড়া অন্য কোনও বক্তব্য ব্যবহার না করতে অনুরোধ করছি,’ বলেন তিনি। একই সঙ্গে গুজব বা বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান তিনি।
লিভারের জটিলতা, কিডনির কার্যকারিতা কমে যাওয়াসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যায় দীর্ঘদিন ধরে ভুগছেন ৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া। গত ২৩ নভেম্বর তাকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে তার অবস্থার ক্রমাগত অবনতি হওয়ায় দলের ভেতরে উদ্বেগ বাড়ছে।
দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা বিএনপির নেতাকর্মীরা প্রতিদিনই হাসপাতালের সামনে অবস্থান করছেন।
প্রদা/ডিও







