ঢাকার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ও ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুই নেতা বাণিজ্য, জ্বালানি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পর্যটন, পরিবহন, পরিবেশ, পানি সম্পদ, ইন্টারনেট সহযোগিতা ও বিনিয়োগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের সম্পর্ক জোরদার করার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
সকালে তিন দিনের সফরে ঢাকায় পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী তোবগেকে বিমানবন্দরে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান প্রধান উপদেষ্টা এবং তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। তোবগে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানান ও গাছ রোপণ করেন।
বৈঠকে ইউনূস ভুটানকে বাংলাদেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, “আমাদের নিয়তি একসঙ্গে ভবিষ্যৎ নির্মাণ।” তোবগে বাংলাদেশকে ভুটানের আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যের উৎস হিসেবে উল্লেখ করে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা আরও গভীর করার ওপর গুরুত্ব দেন।
উভয়পক্ষ দ্বিপক্ষীয় মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) বিষয়ে আলোচনা শুরুর পরিকল্পনায় সম্মত হয়। তোবগে আশা প্রকাশ করেন, ভুটান হবে বাংলাদেশের সঙ্গে এফটিএ করা প্রথম দেশ।
স্বাস্থ্যসেবা ও ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ বাণিজ্যে দুটি সমঝোতা স্মারক সই করা হয়। এর আওতায় ভুটান বাংলাদেশ থেকে ব্যান্ডউইথ আমদানি করবে এবং দুই দেশের স্বাস্থ্যসেবা বিনিময় আরও বাড়বে। বাংলাদেশ ভুটানের শিক্ষার্থীদের জন্য মেডিকেল কলেজ ও বুয়েটে আসন বাড়ানোর ঘোষণা দেয়।
দুই নেতা ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির সম্ভাবনা ও ভারতকে অন্তর্ভুক্ত করে ত্রিপক্ষীয় বিদ্যুৎ বাণিজ্য নিয়েও আলোচনা করেন। তোবগে বলেন, ‘গেলেফু মাইন্ডফুলনেস সিটি’ বাস্তবায়নে বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জে ভুটানের পণ্য ওঠানামার সুবিধা দিলে তা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে গ্রহণ করবে।
নিজেকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানাতে প্রধান উপদেষ্টা ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত হওয়ায় তোবগে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। বৈঠকে বাংলাদেশের বিভিন্ন উপদেষ্টা ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রদা/ডিও
