দেশের বাজারে ভারত থেকে আমদানি হওয়া শুকনা মরিচ, হলুদসহ বেশ কয়েকটি মসলাপণ্যের দাম ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।
দেশের বাজারে ভারত থেকে আমদানি হওয়া শুকনা মরিচ, হলুদসহ বেশ কয়েকটি মসলাপণ্যের দাম ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। নতুন মৌসুমের আগে বাজারে সরবরাহ সংকট থাকায় আমদানীকৃত মসলার বাজার কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
বাজারসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এক মাসের ব্যবধানে ভারত থেকে আমদানি হওয়া শুকনা মরিচের দাম কেজিপ্রতি ১০-১৫ টাকা বেড়েছে। দেশে ভোগ্যপণ্যের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে প্রতি কেজি শুকনা মরিচ মানভেদে ২৭০-২৭২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া শুকনা হলুদ বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১৯২-১৯৫ টাকায়, যা আগের তুলনায় ৮-১০ টাকা বেশি। জিরার দাম কেজিপ্রতি ১৫-২০ টাকা বেড়ে ৫২৫-৫৩০ টাকায় লেনদেন হচ্ছে।
দেশে শুকনা মরিচ ও হলুদের মজুদ কমে এসেছে। এর পরও দেশী মরিচ ও হলুদের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। বর্তমানে প্রতি কেজি দেশী শুকনা মরিচ বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ১১০ থেকে সর্বোচ্চ ২৫৫ টাকায়। দেশী শুকনা হলুদ কেজিপ্রতি ১৭৫-১৮৫ টাকায় লেনদেন হচ্ছে।
মসলা বাণিজ্যে যুক্ত বিভিন্ন পাইকারি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে গোলমরিচ প্রতি কেজি ১ হাজার ৫০ ও লবঙ্গ ১ হাজার ২৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া এলাচ মানভেদে ৪ হাজার ৩০০ থেকে ৪ হাজার ৫০০ টাকায় ও দারুচিনি লেনদেনে হচ্ছে ৩৬০ থেকে ৩৭০ টাকায়। অন্যান্য মসলার মধ্যে জায়ফল ৫৬০ টাকায়, জয়ত্রী মানভেদে ২ হাজার ৬৫০ থেকে ২ হাজার ৭৫০ টাকায় বেচাকেনা হচ্ছে।
খাতুনগঞ্জে কালিজিরার দাম কেজিপ্রতি ১৫-২০ টাকা বেড়ে ৪৫৫ টাকায় পৌঁছেছে। এ সময় মেথি ১২০ টাকায়, সরিষা ৯৫ থেকে ১০৫ ও ধনিয়া মানভেদে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায় লেনদেন হচ্ছে।
দেশে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া মসলাপণ্যের মধ্যে রয়েছে হলুদ ও মরিচ। দেশের কুমিল্লা, পঞ্চগড়সহ বেশ কয়েকটি জেলায় মরিচ উৎপাদন হয়। তবে মান ও চাহিদা মেটাতে ভারত থেকেও উল্লেখযোগ্য পরিমাণ মসলার আমদানি করেন ব্যবসায়ীরা। কালিজিরা, ধনিয়া, সরিষাসহ কিছু মসলা ছাড়া অধিকাংশ মসলা আমদানিনির্ভর।
প্রদা/ডিও