গাজায় দুই বছরের বিরামহীন হামলার প্রতিবাদে ফ্রান্স, ব্রিটেন এবং আরো কয়েকটি পশ্চিমা শক্তি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার যুগান্তকারী পদক্ষেপ নেওয়ার কয়েকদিন পর নেতানিয়াহু জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দেবেন।
ইসরাইলি ইতিহাসের সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘদিন ধরেই ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে প্রত্যাখ্যান করে আসছেন ও তার অতি-ডানপন্থী মিত্ররা স্বাধীন ফিলিস্তিনের বাস্তব সম্ভাবনাকে ধ্বংস করার জন্য পশ্চিম তীরকে সংযুক্ত করার কথা ভাবছে।
হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমি ইসরাইলকে পশ্চিম তীর দখল করতে দেব না।
বিক্ষোভকারীদের মধ্যে একজন তরুণী আন্দ্রেয়া মিরেজ বলেছেন, ‘যুদ্ধাপরাধীরা কোনো মানসিক শান্তির যোগ্য নয়। তাদের কোনো ঘুমের যোগ্য নয়’।
নেতানিয়াহু পশ্চিমা সমালোচকদের ও জাতিসংঘের সমালোচনা করেছেন। পশ্চিমা ও জাতিসংঘকে তিনি পক্ষপাতদুষ্ট বলে অভিহিত করেছেন। তিনি ট্রাম্পকে অমান্য করতেও ভয় পাননি। মার্কিন কূটনৈতিক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও ইরান, কাতার ও সিরিয়ায় সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণের চেষ্টা করছেন।
আন্তর্জাতিক সংকট গ্রুপের জন্য জাতিসংঘের অনুসরণকারী রিচার্ড গোয়ান বলেছেন, ‘আমি মনে করি নেতানিয়াহুর সুর চরমভাবে কঠোর হবে’।
তিনি বলেছেন, ‘তিনি গাজায় তার অভিযানের পক্ষে বা ব্যাখ্যা দিতে জাতিসংঘে আসছেন না। তিনি ইসরাইলকে সমর্থন করতে ব্যর্থতার জন্য জাতিসংঘের সমালোচনা করতে আসছেন, বিশেষ করে এই সপ্তাহের শুরুতে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া দেশগুলোর নিন্দা জানাতে আসছেন’।
ফিলিস্তিনি নেতা মাহমুদ আব্বাসকে ভিসা না দেওয়ার বিরল পদক্ষেপ নেওয়ার পর বৃহস্পতিবার ভিডিওর মাধ্যমে সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেন তিনি।
আব্বাস বলেছেন, তার ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রতিদ্বন্দ্বী হামাসের কোনো ভবিষ্যৎ থাকা উচিত নয় এবং ৭ অক্টোবরের হামলা ও ইহুদি-বিদ্বেষ উভয়েরই নিন্দা করেন।
গোয়ান সন্দেহ করেছিলেন, আব্বাসের বক্তৃতা নেতানিয়াহুকে প্রভাবিত করবে। তিনি বলেছেন, ‘এটা স্পষ্ট যে নেতানিয়াহু কেবল হামাস পরিচালিত ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের ধারণারই বিরোধী নন বরং ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের মৌলিক ধারণারও বিরোধী’।
প্রদা/ডিও