সরকারি চাকরিজীবীদের অবসরোত্তর পেনশন ব্যবস্থায় নতুন সুবিধা যোগ হচ্ছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, পেনশনভোগী মারা গেলে দ্বিতীয় স্ত্রী/স্বামীও পারিবারিক পেনশনের আওতায় আসবেন। পাশাপাশি শতভাগ পেনশন সমর্পণকারীদের পুনঃস্থাপনের অপেক্ষাকাল ১৫ বছর থেকে কমিয়ে ১০ বছরে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীরা জটিল রোগে আক্রান্ত হলে কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড থেকে চিকিৎসা সহায়তা পাবেন। এতদিন এ সুবিধা শুধু কর্মরতদের জন্য প্রযোজ্য ছিল।
বর্তমানে নিয়ম অনুযায়ী, পেনশনভোগী মারা গেলে প্রথম স্ত্রী/স্বামী আজীবন পেনশন পান। তবে শতভাগ পেনশন সমর্পণকারীরা ১৫ বছর পূর্ণ হওয়ার আগে মারা গেলে তাদের পরিবার কোনো সুবিধা পেত না। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, এ বিষয়টি অর্থ বিভাগ পরীক্ষা করে দেখবে।
১৯৮০ সাল থেকে এককালীন পুরো পেনশন তোলার সুযোগ চালু হয়। অনেক অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা টাকা ব্যয় করে পরে আর্থিক সংকটে পড়েন। তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সালে সরকার ১৫ বছর পর পুনঃস্থাপনের বিধান চালু করে। বর্তমানে যারা এককালীন টাকা নিয়েছেন তারা শুধু উৎসব ভাতা ও চিকিৎসা ভাতা পান।
বৈঠকে আরও প্রস্তাব দেওয়া হয়—অবসরপ্রাপ্ত প্রবাসী কর্মকর্তারা বিদেশে বাংলাদেশ মিশনের মাধ্যমে পেনশন-সংক্রান্ত আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে পারবেন। পাশাপাশি পেনশনভোগীদের উৎসব ভাতায় ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট যোগ না হওয়ার সমস্যারও সমাধান করতে অর্থ বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া সর্বজনীন পেনশন স্কিম নিয়ে ব্যাপক প্রচারণা চালানো এবং সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি কমিটিতে জনপ্রশাসন সচিবকে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।
প্রদা/ডিও