চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (সিপিএ) দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরে কন্টেইনার স্টোরেজ ক্ষমতা ১০% বৃদ্ধি করেছে, যার ফলে মোট ইয়ার্ডের স্থান ৫৩,৫১৮ টিইইউ থেকে ৫৯,০০০ টিইইউতে উন্নীত হয়েছে।
বন্দর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যানজট কমানো এবং মসৃণ বাণিজ্য কার্যক্রম নিশ্চিত করাই এই পদক্ষেপের লক্ষ্য।
সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে, বেশ কয়েকটি নতুন ইয়ার্ড নির্মাণ করা হয়েছে এবং পুরনো সুবিধা সংস্কার করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে পূর্ববর্তী নিলাম ইয়ার্ড, গাড়ি সংরক্ষণ এলাকা, ব্যাগেজ শেড এবং এক্স-ওয়াই শেডের উন্নয়ন। এই সংযোজনের মাধ্যমে, বন্দরটি এখন আগের তুলনায় আরও বেশি কন্টেইনার পরিচালনা করতে সক্ষম।
সিপিএ এই বছরের শেষ নাগাদ ধারণক্ষমতা প্রায় ৬২,০০০ টিইইউ-তে উন্নীত করার পরিকল্পনাও করেছে।
বর্তমানে বন্দরটি কোনও বাধা ছাড়াই ৪৭,০০০ থেকে ৪৮,০০০ টিইইউ স্টোরেজ পরিচালনা করে, অন্যদিকে দৈনিক কন্টেইনার জাহাজ পরিচালনা গড়ে ১০টি জাহাজ থেকে বেড়ে ১২ থেকে ১৩টিতে পৌঁছেছে। এর ফলে আমদানি ও রপ্তানি উভয় ক্ষেত্রেই ডেলিভারি সময় কমিয়ে আনা হয়েছে, যার ফলে রপ্তানির সময় কমেছে।
সিপিএ সূত্রের মতে, উন্নত ইয়ার্ড ধারণক্ষমতার কারণে প্রায় ৬,০০০ রপ্তানিমুখী টিইইউ-এর জন্য প্রাক-স্ট্যাকিংয়ের ব্যবস্থাও সম্ভব হয়েছে।
তবে, চ্যালেঞ্জগুলি রয়ে গেছে, যার মধ্যে রয়েছে লোকোমোটিভের ঘাটতির কারণে রেল পরিবহনে বিলম্ব, যার ফলে ঢাকা আইসিডির চালানের উপর চাপ বেড়েছে।
এছাড়াও, প্রায় ১০,০০০ নিলামযোগ্য কন্টেইনার, এবং ঢাকা আইসিডির জন্য নির্ধারিত আরও ২,০০০ কন্টেইনার বর্তমানে ছাড়পত্রের অপেক্ষায় রয়েছে।
এই চাপ সত্ত্বেও, কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে বন্দরের কার্যক্রম স্থিতিশীল রয়েছে। জাহাজগুলির গড় টার্নঅ্যারাউন্ড সময় এখন ২.৫৮ দিনে উন্নীত হয়েছে, যেখানে বহির্নোঙ্গরে অপেক্ষার সময় মাত্র দুই দিনে নেমে এসেছে।
সিপিএ-র তথ্য অনুযায়ী, গতকাল (২২ আগস্ট) চট্টগ্রাম বন্দর ইয়ার্ডে ৪৪,১৩৩ টিইইউ কন্টেইনার ছিল।
প্রদা/ডিও