পণ্য ও সেবা মিলিয়ে চলতি অর্থবছরে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬৩ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার বা ৬ হাজার ৩৫০ কোটি মার্কিন ডলার। গত বছর এ লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ হাজার ৭৫০ কোটি মার্কিন ডলার।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) ২০২৫-২৬ অর্থবছরের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ সংক্রান্ত সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে করেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। সেখানে এসব তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে, পণ্যখাতে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রায় ১৩ দশমিক ৪০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলন করে ৫৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে। এবং সেবাখাতের জন্য প্রায় ১৮ দশমিক ৬৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলন করে ৮ দশমিক ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করার প্রস্তাব করা হয়।
সমাপ্ত অর্থবছর ২০২৪-২৫ এ বাংলাদেশ পণ্যখাতে ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৪৮ দশমিক ২৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছে, যা লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৯৭ শতাংশ। তবে পূর্ববর্তী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের তুলনায় ৮ দশমিক ৫৮ শতাংশ বেশি।
সেবাখাতের লক্ষ্যমাত্রা ৭ দশমিক ৫০ বিলিয়নের বিপরীতে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে জুলাই-এপ্রিল পর্যন্ত রপ্তানি হয়েছে ৫ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫ দশমিক ১৩ শতাংশ বেশি।
এর মধ্যে তৈরি পোশাক খাতে ওভেন রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ১৪ দশমিক ৩১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে ২০ হাজার ৭৯০ মিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া তৈরি নিট রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ১২ দশমিক ০১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে ২৩ হাজার ৭০০ মিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে।
চলতি অর্থবছরে হোম-টেক্সটাইল খাতের রপ্তানির বিশ্ববাজার আকৃতি, প্রবৃদ্ধি এবং আমাদের সক্ষমতার প্রেক্ষাপটের আলোকে প্রবৃদ্ধি ১৭ দশমিক ০৩ শতাংশ ধরে ১ হাজার ২০ মিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে।
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি খাত লেদার ও লেদার গুডস এর রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে ০৯ দশমিক ১৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে ১ হাজার ২৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। হিমায়িত ও জীবন্ত মাছ রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ২২ দশমিক ০৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে ৫৩৯ মিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। পাট ও পাট পণ্যের রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রার ৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে ৯০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে।
সভায় বাণিজ্য সচিব মাহবুবর রহমান, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনসহ মন্ত্রণালয়ের অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।