গত ২৪-৩১ মে মাঠপর্যায়ে ভ্যাট জরিপ চালান ভ্যাট গোয়েন্দারা।
ব্যবসা করতে গেলে ভ্যাট বিভাগের দেওয়া ব্যবসায় শনাক্তকরণ নম্বর (বিআইএন) লাগবে আপনার, যা ভ্যাট নিবন্ধন নামে সমধিক পরিচিত। অথচ রাজধানী ও আশপাশের বড় বিপণিবিতানগুলোর শত শত ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের কিনা এই নিবন্ধন নেই। সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভ্যাট গোয়েন্দাদের এক জরিপে দেখা গেছে, প্রতি পাঁচটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে চারটিরই বিআইএন নেই। নিবন্ধন ছাড়াই দিব্যি ব্যবসা করে চলেছে তারা।
রাজধানী ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদীর নামকরা ১৭টি বিপণিবিতানে ওই জরিপ করে ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তর। গত ২৪ থেকে ৩১ মে ভ্যাট গোয়েন্দাদের চারটি দল জরিপটি চালায়।
জরিপের ফল বলছে, ভ্যাট গোয়েন্দারা বিপণিবিতানগুলোর মোট ২ হাজার ১৩৩টি দোকানে গিয়ে মাত্র ৪৮২টিতে ভ্যাট নিবন্ধন থাকার প্রমাণ পেয়েছেন। বাকি ১ হাজার ৬৫১টি প্রতিষ্ঠান ভ্যাট নিবন্ধন ছাড়াই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ, ৭৭ দশমিক ৩৬ শতাংশ দোকানের ভ্যাট নিবন্ধন নেই। তারা ক্রেতাদের কাছ থেকে ভ্যাট নিলেও তা সরকারি কোষাগারে জমা পড়ে না। অথচ এসব প্রতিষ্ঠানের ভ্যাট নিবন্ধন ছাড়া ব্যবসা করার কোনো সুযোগই থাকার কথা নয়। সম্প্রতি জরিপের ফলাফল প্রতিবেদন এনবিআরের চেয়ারম্যানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সামনে উপস্থাপন করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মইনুল খান দৈনিক অর্থনীতিকে বলেন, ‘ভয়ভীতি দেখানোর জন্য নয়, আমরা শুধু দেখতে চেয়েছি কারা ভ্যাট নিবন্ধন নেননি। আমরা যেসব প্রতিষ্ঠানে ভ্যাট নিবন্ধন পাইনি, তাদের নিবন্ধন নেওয়ার অনুরোধ করেছি।’