গতানুগতিক কৌশলের বাইরে ‘হালুয়া মিশন’ শুরু করেছে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা। এই চক্রটির কৌশল বুঝতে না পেরে সাধারণ মানুষ হালুয়া খেয়ে সর্বস্ব তো হারাচ্ছেন, আবার কেউ হারাচ্ছেন প্রাণ।
সীতাকুন্ড থানাধীন বড় দারোগাহাট বাজার এলাকায় বাসে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে সর্বস্ব লুটে নেওয়া পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় চমেক হাসপাতালে মারা যান আবু ছৈয়দ (৫৪) নামের একব্যক্তি।
এঘটনায় করা মামলার ছায়া তদন্তে নেমে একটি চক্রের তিন সদস্যকে রোববার গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
সোমবার (২ জানুয়ারী) সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় পিবিআই চট্টগ্রাম জেলা ইউনিটের বিশেষ পুলিশ সুপার (এসপি) নাজমুল হাসান।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- নোয়াখালীর বেগমগঞ্জেপর ইব্রাহিমের ছেলে মহিন উদ্দিন (৩০), একই এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে মো. আনোয়ার হোসেন (৪২) ও ফেনী ছাগলনাইয়ার মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে মো. রফিকুল ইসলাম (৪২)। তারা সবাই নগরের বিভিন্ন এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন।
পিবিআই সুত্রে জানা যায়, এই চক্রের এক সদস্য প্রথমে বাসে উঠে একজনকে টার্গেট করে। তাকে যৌন সমস্যা সমাধান সংক্রান্ত বই পড়িয়ে বিভিন্নভাবে প্ররোচিত করে।
এক ফাঁকে একটা বড়ি/ হালুয়া খাওয়ার প্রস্তাব দেয়। ভুক্তভোগীর বিশ্বাস অর্জন করতে প্রথমে নিজেদের লোকদের খাওয়ানো হয় হালুয়া। এরপর ভুক্তভোগী অজ্ঞান হয়ে গেলে চক্রের সদস্যরা যাত্রীর কাছ থেকে সর্বস্ব লুট করে পালিয়ে যান।
এই চক্রের সদস্যদের এমন ফাঁদে পড়েই সর্বস্ব হারান এবং হরেক রকমের ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় হাসপাতালে ৯ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা যান তিনি।
পুলিশ সুপার (এসপি) নাজমুল হাসান বলেন, অভিনব কায়দায় বাসের যাত্রীদের কাছ থেকে সর্বস্ব হাতিয়ে নেওয়া চক্রটির দলে চারজন রয়েছে। তিনজনকে আমরা গ্রেফতার করেছি এবং বাকি একজনকেও শিগগিরই গ্রেফতার করা হবে। চক্রের সদস্যরা কয়েক প্রকার ওষুধের মিশ্রণে চেতনানাশক বড়ি বানাতেন।