শিল্প কারখানায় গ্যাস সরবরাহ চার ঘণ্টা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত স্থগিত করার আহ্বান জানিয়েছেন চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলম। গত ১২ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মাহবুব হোসেন, পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যান ও কেজিডিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর লেখা এক চিঠিতে তিনি এই আহ্বান জানান। চিঠিতে তিনি বলেন, পবিত্র রমজান উপলক্ষে গত মঙ্গলবার থেকে পরবর্তী ১৫ দিন বিকাল ৫টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত অর্থাৎ প্রতিদিন মোট ৪ ঘণ্টা সকল শিল্প কারখানায় গ্যাস ব্যবহার বন্ধ রাখার জন্য অনুরোধ জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ কর্পোরেশন ।
শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো মূলত রপ্তানিযোগ্য ও সার্বক্ষণিক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানের প্রোডাকশন প্রসেস প্লান্ট ক্ষেত্র বিশেষে ধাপে ধাপে চালু করতে হয় এবং একইভাবে ধাপে ধাপে বন্ধ করতে হয়। এর কোনরূপ ব্যত্যয় হলে কারখানার যন্ত্রপাতির চরম ক্ষতি সাধিত হয় এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর রপ্তানি ব্যাহত হয়। কোন ধরণের আগাম ঘোষণা ব্যতীত হঠাৎ করে প্রদত্ত এই সিদ্ধান্তের কারণে এই ধরণের অনেক কারখানা মারাত্মক অসুবিধার সম্মুখীন হবে এবং আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। চিঠিতে তিনি আরও উল্লেখ করেন, প্রধানমন্ত্রী দেশের শিল্পায়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও রপ্তানি বৃদ্ধিতে নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহের লক্ষ্যে বিদেশ থেকে এলএনজি আমদানি করে চাহিদা পূরণ করছেন। এই অবস্থায় শিল্প কারখানায় গ্যাস রেশনিং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের পুনরুদ্ধার ব্যবস্থাকে বাধাগ্রস্ত করবে, যা আমাদের দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে কোন অবস্থাতেই কাম্য হতে পারে না। কাজেই গ্যাস সরবরাহের ক্ষেত্রে গ্যাস ভিত্তিক ইন্ডাস্ট্রিগুলোকে অগ্রাধিকার দেয়া উচিত। পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের প্রাক্কালে যথাযথভাবে রপ্তানি অব্যাহত রাখা এবং শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন, ভাতা ইত্যাদি যাতে সময় মতো পরিশোধ করা যায় সেই ব্যাপারে সহযোগিতার লক্ষ্যে সার্বক্ষণিক চলমান শিল্প কারখানার ক্ষেত্রে পেট্রোবাংলা’র বিজ্ঞপ্তি স্থগিত করার জন্য সরকারের প্রতি বিশেষ অনুরোধ জানাচ্ছি।