মৎস্য আড়ত ইলিশে ভরপুর মুন্সীগঞ্জের মাওয়া। দামেও বেশ সস্তা। পাইকার-ক্রেতারা শীত উপেক্ষা করেই ইলিশ কিনতে আড়তে ছুটছেন।
ব্যবসায়ীরা বসেছেন ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশের পসরা সাজিয়ে। মুন্সীগঞ্জের মাওয়া মৎস্য আড়ত রুপালি ইলিশে সয়লাব।
ক্রেতা-পাইকারদের মাঘের হাড় কাঁপানো শীত আর কুয়াশা উপক্ষো করেই ভোরে মাওয়ার পদ্মা তীরের এ আড়তে ইলিশ কিনতে ভিড়। আর সরবরাহ প্রচুর থাকায় দামও কম। আকারভেদে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ৩০০ থেকে এক হাজার ৪০০ টাকা পর্যন্ত।
ক্রেতারা বলছেন, এখানে মোটামুটি অনেক বড় বড় ইলিশ পাওয়া যায়। এ জন্যই এখানে আসা। বিক্রেতারা বলছেন, স্বাদের কারণে পদ্মার ইলিশ খেতে এখানে লোকজন ভিড় জমায়। প্রচুর ইলিশ আছে। ক্রেতাও অনেক বেশি। দামও একটু কমে চলছে।
মাওয়া মৎস্য আড়তের সভাপতি ছানা রঞ্জন দাস বলেন, যে ইলিশ আগে এক হাজার ৭০০ থেকে এক হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি হত, সে ইলিশ আজ এক হাজার ৩০০ থেকে এক হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আজ ক্রেতাও খুব আসছে।
কেজি প্রতি বড় ইলিশ এক হাজার ৩০০ থেকে এক হাজার ৪০০ টাকা, এক কেজি ওজনের ইলিশ ১১ থেকে এক হাজার টাকা, ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রামের ইলিশ ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা। ৪০০ থেকে ৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা।
অর্ধশতাব্দী প্রাচীন এই আড়তে কর্মসংস্থান হয়েছে প্রায় তিন হাজার মানুষের। এক বছরে জেলায় ২ হাজার ৭২ মেট্রিক টন ইলিশ উৎপাদন হয়েছে।