শুঁটকি উৎপাদন শুরু হয়েছে মেঘনা তীরবর্তী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার লালপুরে। তবে বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা এ বছর মিঠাপানির মাছের স্বল্পতা থাকায়। লোকসানের শঙ্কায় চড়া সুদে দাদন ব্যবসায়ী এবং বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে। জেলা প্রশাসন সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।
সারি সারিভাবে স্থাপন করা হয়েছে বাঁশের মাচা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের মেঘনার তীরবর্তী লালপুরে। মিঠাপানির বিভিন্ন প্রজাতির মাছ শুকানো হচ্ছে এসব মাচায় যা মেঘনা এবং হাওর অঞ্চল থেকে আহরণ করা হয়েছে।
এখানে পুঁটি, ট্যাংরা, শৈল, আইড় এবং ম্যানি মাছের শুঁটকি অন্যতম।বিক্রি উপযোগী করে তোলা হয় রোদে শুকানো এই শুঁটকি নানা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। ব্যবসায়ীরা বিপাকের পরেছেন চ্যাপা শুঁটকি উৎপাদনের অন্যতম জোগান পুঁটি মাছের আমদানি বাজারে কম হওয়ায়। ব্যবসায়ীরা মৌসুমের শুরুতে দাদন ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন এনজিওর কাছ থেকে উচ্চ সুদে পুঁজি সংগ্রহ করেছেন। সেই টাকা পরিশোধ করা নিয়ে শঙ্কায় তারা ব্যবসা ভালো না হলে।
শুঁটকি মাছ ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন,”করোনার কারণে মাছ কম, তাই ঠিকমতো ব্যবসা করতে পারছি না। ব্যবসার পরিস্থিতি যদি এবার ভালো না হয়, তাহলে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়।”
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান বলেন,শুঁটকি মাছ ব্যবসায়ীদের সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নেওয়া হবে। তিনি বলেছেন, ইতোমধ্যে, শুঁটকি শুকানোর কাজে যারা নিয়োজিত, তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের এ পুঁজি সমস্যাসহ বিপণনে যে সমস্যাগুলো রয়েছে, সেগুলো স্থানীয় প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ এবং ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গে আমরা আলোচনা করে, তাদের সমস্যা লাঘবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।