মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) লন্ডনে যুক্তরাজ্য বিএনপি আয়োজিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
তারেক রহমান বলেন, যারা তার অনুরোধ রেখে সেদিন এয়ারপোর্টে যাবেন না, তিনি ধরে নেবেন তারা দল ও দেশের স্বার্থ এবং সম্মানের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেছেন। আর অনুরোধ অমান্য করে যারা এয়ারপোর্টে যাবেন, তাদের তিনি ব্যক্তিগত স্বার্থে গিয়েছেন বলে বিবেচনা করতে বাধ্য হবেন।
নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, সামনের দিনগুলো সহজ হবে না। তবে ঐক্য বজায় রাখতে পারলে দলীয় পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন সম্ভব হবে এবং প্রত্যাশিত বাংলাদেশ গড়ে তোলা যাবে।
তারেক রহমান বলেন, তিনি কোনো স্বপ্নে বিভোর নন, বরং পরিকল্পনার মধ্যেই রয়েছেন। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়া সংকটময় সময়ে দেশকে খাদ্যসংকট থেকে রক্ষা করেছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে জনগণের সমর্থনে আগামী নির্বাচনে সরকার গঠন করা সম্ভব হবে, যদিও সামনে পথ অত্যন্ত কঠিন।
এছাড়া সরকার গঠন করলে ‘কুঁড়ি’ টেলিভিশন অনুষ্ঠান নতুনভাবে সাজানো, প্রবাসীদের জন্য ভাষা শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি, রোগ প্রতিরোধে গুরুত্ব দিয়ে স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়ন, পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ চালু, কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের আয় বাড়াতে সহায়তা, ছোট ওয়ার্কস্পেস, ফ্রি ওয়াই-ফাই ও ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট স্থাপনের পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি।
তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে এসব উদ্যোগের সুফল জনগণ পাবে বলেও আশ্বাস দেন তারেক রহমান।
স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে প্রবাসীদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, ঐক্য বজায় রাখতে পারলেই একটি জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।
প্রদা/ডিও






