নির্বাচনকে সামনে রেখে বৃহত্তর চট্টগ্রামের মোট ৫৪টি থানায় বড় ধরনের রদবদল হয়েছে। এর মধ্যে দক্ষিণ চট্টগ্রামে সাতটি থানা, উত্তর চট্টগ্রামে ১০টি, কক্সবাজারের ৯টি থানা এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলায় মোট ২৮টি থানায় নতুন ওসি আসছেন। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) পদায়নের জন্য লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত করা হয়েছে।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হওয়ার আগেই থানার ওসিদের পদায়ন সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনের সময় দায়িত্ব পালন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য ওসি পদায়নের আগে ইউনিট প্রধানদের কাছ থেকে সৎ ও নিরপেক্ষ পরিদর্শকের তালিকা সংগ্রহ করা হয়। এই তালিকার ভিত্তিতেই পরে লটারির মাধ্যমে ওসি পদায়ন সম্পন্ন হয় বলে জানানো হয়েছে।
লটারিতে মোট ৫২৭ থানায় নতুন ওসি পদায়ন করা হয়েছে। অবশ্য পদায়নকৃতদের নামের তালিকায় ‘প্রস্তাবিত’ লেখা রয়েছে।
পদায়নের মধ্যে চট্টগ্রাম রেঞ্জে ১১ জেলায় ১১১ থানার ওসিকে পদায়ন করা হয়েছে, ঢাকা রেঞ্জে ১৩ জেলায় ৯৮ থানার ওসিকে পদায়ন করা হয়েছে, খুলনা রেঞ্জে ১০টি জেলায় ৬৪ থানার ওসিকে পদায়ন করা হয়েছে, ময়মনসিংহ রেঞ্জের ৪ থানায় ৩৬ ওসিকে পদায়ন করা হয়েছে, বরিশাল রেঞ্জের ৬ জেলায় ৪৬ ওসিকে পদায়ন করা হয়েছে, সিলেট রেঞ্জের ৪ জেলায় ৩৯ থানার ওসিকে পদায়ন করা হয়েছে, রাজশাহী রেঞ্জে ৮ জেলায় ৭১ থানার ওসিকে পদায়ন করা হয়েছে এবং রংপুর রেঞ্জের ৮ জেলার ৬২ থানার ওসিকে পদায়ন করা হয়েছে।
এর মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির (এনসিপি) আন্দোলনের মুখে চট্টগ্রামের পটিয়া থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জায়েদ মো. নাজমুন নূরকে গত ২ জুলাই প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছিল। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের তখন অভিযোগ করে, আন্দোলনকারী নেতা-কর্মীদের পুলিশ লাঠিপেটা করে। এতে তাদের কয়েকজন আহত হন। অন্যদিকে পুলিশের দাবি, বৈষম্যবিরোধী নেতারা থানার ভেতরে ‘মব’ সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছিলেন।
সেই আবু জায়েদ মো. নাজমুন নূরই পাঁচ মাসের মাথায় আবার পটিয়ায় আসছেন ওসি হয়ে।