করোনার মহামারিতেও প্রভাব পরেনি চিংড়ি রফতানি আয়। চিংড়ি রফতানি থেকে আয় হয়েছে ২৬৮ দশমিক ৯৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে।
চিংড়ি চাষিরা ছয় মাসে রফতানির পরিমাণ ৩৮ দশমিক ২৩ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়ায় লাভের মুখ দেখছেন।
চিংড়ি রফতানির বিষয়ে খাত সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০২০ সালে করোনা মহামারি সময়ে বাগদা রফতানি বন্ধ হয়ে যায়। তখন দাম ভাল না পাওয়ায় উৎপাদনে আগ্রহ হারায় চাষিরা। তবে ২০২১ সালে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি ২০১৯ সালের থেকেও ভাল।
বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএফইএ) সূত্র জানায়, বাংলাদেশ থেকে রফতানি হওয়া চিংড়ির ৮৫ শতাংশ যায় ইউরোপের দেশগুলোতে। ১৫ শতাংশ যায় আমেরিকা, জাপানসহ অন্যান্য দেশে।
বিএফএফইএ এর তথ্য মতে, লাইভ ফিশের ৩৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হলেও এই খাতের রফতানির পরিমাণ এখনও খুবই কম। গত ছয় মাসে রফতানি হয়েছে মাত্র ৪ দশমিক ৪১ মিলিয়ন ডলার। তবে চিংড়ি ও লাইভ ফিশ রফতানিতে প্রবৃদ্ধি আসলেও কমেছে ফ্রোজেন ফিশ রফতানির পরিমাণ। এই সেগমেন্টে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি ছিল ২৩ দশমিক ৯০ শতাংশ।
২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে ৬৬ দশমিক ৩৩ মিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানি হলেও ২০২১-২২ এর প্রথম ছয় মাসে রফতানি হয়েছে ৫৩ দশমিক শূন্য ৫ মিলিয়ন ডলার।