ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মধ্যে গতকাল একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে। ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান এবং বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক সত্য প্রসাদ মজুমদার নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন। এতে উপস্থিত ছিলেন বুয়েটের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল জাব্বার খান, ডিসিসিআইয়ের সহসভাপতি মনোয়ার হোসেন সোমবার (৭ জুন) অনলাইনে এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী, উভয় প্রতিষ্ঠানই দেশের অর্থনীতির বৃহত্তর...
Read moreশেষ পর্যন্ত নগরবাসীর শঙ্কা সত্যিই হলো। ভারী বৃষ্টিতে ডুবল নগরের সিংহভাগ এলাকা। তীব্র জলাবদ্ধতার কবলে পড়লেন স্থানীয়রা। থাকতে হলো ছয়...
Read moreঅর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন , কারা বিদেশে টাকা নিয়ে যায় তা তিনি জানেন না। এ সম্পর্কিত কোন তালিকা তার কাছে নেই বলেও...
Read moreঅপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে দুই বছরের শীর্ষে উঠে এসেছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে ঝিমিয়ে পড়া জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক চাহিদা ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করেছে। এ পরিস্থিতিতে জ্বালানি তেলের বাজার চাঙ্গা করতে সরবরাহ নিয়ন্ত্রিত রাখার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে ওপেক প্লাস। ওপেক প্লাসের বাজার নিয়ন্ত্রণের এ নীতির জেরেই জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। খবর রয়টার্স। শুক্রবার অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বাজার আদর্শ ব্রেন্টের দাম ৫৮ সেন্ট বা দশমিক ৮ শতাংশ বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৭১ ডলার ৮৯ সেন্টে দাঁড়ায়। এদিন ব্রেন্টের দাম ৭২ ডলার ১৭ সেন্ট পর্যন্ত ওঠেছিল, যা ২০১৯ সালের পর সর্বোচ্চ। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি তেলের বাজার আদর্শ ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দাম ৮১ সেন্ট বা ১ দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে ব্যারেলপ্রতি লেনদেন হয়েছে ৬৯ ডলার ৬২ সেন্টে। এর আগে ডব্লিউটিআইয়ের দাম ব্যারেলপ্রতি ৬৯ ডলার ৭৬ সেন্টে ওঠে, যা ২০১৮ সালের অক্টোবরের পর সর্বোচ্চ। রয়টার্স জানায়, মঙ্গলবার ওপেক প্লাসের মন্ত্রিপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে সংগঠনটি জানায়, তারা জ্বালানি তেল সরবরাহ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সম্মত হয়েছে। এদিকে জ্বালানি তেল সরবরাহবিষয়ক এক সাপ্তাহিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, গত সপ্তাহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জ্বালানি তেলের মজুদ আশঙ্কার চেয়েও বেশি হারে কমে যায়। বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ বিষয়গুলো মূল্যবৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রেখেছে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে গত মাসে নির্মাণ ও উৎপাদন খাতে ৫ লাখ ৫৯ হাজার কর্মসংস্থান বেড়েছে। এতে জ্বালানি তেলের বাজার আরো চাঙ্গা হয়েছে। জ্বালানি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বেকার হিউজেসের তথ্যমতে, যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি প্রতিষ্ঠানগুলো চলতি সপ্তাহে জ্বালানি তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলন ক্ষেত্রগুলোতে উত্তোলনের পরিমাণ কমিয়ে এনেছে। গত ছয় সপ্তাহে প্রথমবারের মতো এ ঘটনা ঘটেছে। এ কারণে জ্বালানি তেলের দাম অনেকটাই বেড়ে যায়। পণ্যবাজার প্রতিনিধি প্রতিষ্ঠান পিভিএমের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি স্টিফেন ব্রেনক বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে ঢিমেতালে চলার পর ব্রেন্টের বাজারে বড় পরিবর্তন দেখা দিয়েছে। জ্বালানি তেলের এ বাজার আদর্শের দাম ব্যারেলপ্রতি ৭০ ডলারের গণ্ডিতে পা রেখেছে। বৈশ্বিক অর্থনীতির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা চলতি বছরের দ্বিতীয়ার্ধে জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক চাহিদাকে অনেক বেশি শক্তিশালী করে তুলবে।
Read moreবাজেট ঘোষণার পর সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার (৬ জুন) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম...
Read moreরাজধানীর আজিমপুর সরকারি স্টাফ কোয়ার্টারের একটি ভবনের বাথরুম থেকে ইসরাত জাহান তুষ্টি (২১) নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষার্থীর মরদেহ...
Read moreকরোনা প্রতিরোধে চীনের সিনোভ্যাক লাইফ সায়েন্সেস লিমিটেডের তৈরি করা টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর। দেশে এ টিকার...
Read more২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের অনেক জায়গায় অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের কথা বলা হলেও সামাজিক পুনরুদ্ধারের বিষয়টি গুরুত্বসহকারে প্রতিফলিত হয়নি বলে মনে করে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম)। প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সানেমের পর্যবেক্ষণ জানাতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এমন অভিমত ব্যক্ত করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে আলোচনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ও সানেমের নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ও সানেমের গবেষণা পরিচালক ড. সায়মা হক বিদিশা। ড. সেলিম রায়হান তার বাজেট প্রতিক্রিয়ার আলোচনায় বলেন, টাকার অংকে বাজেট বাড়লেও জিডিপির অনুপাতে আমাদের বাজেট খুব সামান্যই বেড়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সামাজিক সুরক্ষা খাতে বর্তমানের তুলনায় দ্বিগুণ বাজেট বাড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে। সেক্ষেত্রে জিডিপির অনুপাতে ঘোষিত বাজেটের আকার যথেষ্ট নয়। আবার যে বাজেট ঘোষণা হয়েছে, সেটিও বাস্তবায়ন হয় না। বছরের শেষে সংশোধিত বাজেটের আকার এক দফা কমে। পরে আবার প্রকৃত বাজেট নথিতে দেখা যায় এ বাজেট আরেক দফা কমে যায়। আবার এটিও মনে রাখতে হবে, বিভিন্ন খাতে সরকারি খরচ মানেই বাস্তবায়ন নয়। অনেক সময় বিভিন্ন অনিয়মের কারণে খরচ করা আর বাস্তবায়ন করার মধ্যে বড় ফারাক থাকে। সংবাদ সম্মেলনে সানেম বলছে, করোনা মহামারীর কারণে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সামাজিক সুরক্ষা, দারিদ্র্য, বৈষম্য ইত্যাদি সামাজিক বিষয় পুনরুদ্ধারের কথা বাজেটে আরো সুস্পষ্ট ও গুরুত্বসহকারে উল্লেখ করার প্রয়োজন ছিল। মহামারীর কারণে সৃষ্ট সমস্যাগুলোকে সমাধানের চেষ্টা করা হয়েছে ‘এডহকভাবে’। সামগ্রিক কোনো পরিকল্পনার অধীনে নয়।
Read moreএকাদশ জাতীয় সংসদে ২০২১-২০২২ অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ...
Read moreমহামারীর ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে দেশে দেশে নেয়া হয়েছে কৃচ্ছ্র সাধনের নানা উদ্যোগ। গুরুত্ব পাচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, সামাজিক সুরক্ষা ও নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির বিষয়গুলো। অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় গত বছরই সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন-ভাতা কমিয়ে আনার ঘোষণা দেয় কাতার ও ভিয়েতনাম। পরবর্তী সময়ে অন্য অনেক দেশই সরকারি ব্যয়ের খাত সংকুচিত করার পথে হেঁটেছে। যদিও চলমান করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই দেশে গত অর্থবছরের মতো এবারো সরকারি কর্মীর বেতন-ভাতা বাবদ ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। মহামারীর অনেক আগে থেকেই এ ব্যয় বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে বেতন-ভাতায় সরকারের ব্যয় ছিল ২৮ হাজার ৮২০ কোটি টাকা, যা ২০২৩-২৪ অর্থবছর নাগাদ ৯২ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে প্রক্ষেপণ করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। সেক্ষেত্রে এক দশকে বেতন-ভাতা বাবদ সরকারের ব্যয় বৃদ্ধির হার দাঁড়াচ্ছে ২২১ শতাংশের বেশিতে। বৃহস্পতিবার সংসদে অর্থমন্ত্রীর উপস্থাপিত তথ্যে দেখা যায়, আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বাবদ বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৭১ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা। এ ব্যয় মোট পরিচালন বাজেটের ১৯ শতাংশ। আর পরিচালন বাজেটের ৭ দশমিক ৭ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে পেনশন পরিশোধে। সে হিসেবে বেতন-ভাতা ও পেনশন পরিশোধেই পরিচালন বাজেটের ২৬ দশমিক ৭ শতাংশ অর্থ ব্যয় হবে। ‘মধ্যমেয়াদি সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি বিবৃতি ২০২১-২২ থেকে ২০২৩-২৪’ শীর্ষক বাজেট প্রকাশনার তথ্যমতে, বেতন-ভাতা খাতে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে সরকারের ব্যয় ছিল ৪০ হাজার ৫০ কোটি টাকা। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বেতন-ভাতা বাবদ ব্যয় বাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকার বেশি। চলতি অর্থবছরের সংশোধিত হিসাবে এ খাতে সরকারের ব্যয় ৬৫ হাজার ৬১০ কোটি টাকা। আর আগামী অর্থবছরে মোট বাজেটের ১১ দশমিক ৮ শতাংশ ব্যয় ধরা হয়েছে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন-ভাতা বাবদ। ২০২২-২৩ অর্থবছরে এ খাতে সরকারের ব্যয় ৮১ হাজার ৪৩০ কোটি ও পরের অর্থবছরে তা ৯২ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে প্রক্ষেপণ করা হয়েছে। সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, কয়েক বছর ধরে রাষ্ট্রের কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বাবদ ব্যয়িত অর্থের পরিমাণ বেড়েই চলছে। সরকার নানাভাবে আমলাতন্ত্রের ওপর নির্ভর হয়ে যাওয়ার কারণে এমনটি ঘটছে। এ খাতে ব্যয় বৃদ্ধির কারণে অর্থনীতি দুদিক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। একদিকে আমলাদের জন্য বরাদ্দ বাড়াতে গিয়ে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ দেয়া যাচ্ছে না। অন্যদিকে বড় অংকের বেতন-ভাতা নিয়েও বাজেট বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আমলারা চরমভাবে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছেন। চলতি অর্থবছরেও বাজেট বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আমলারা অদক্ষতা, সমন্বয়হীনতা ও অব্যবস্থাপনার অনেক দৃষ্টান্ত তৈরি করেছেন। এত টাকা বেতন-ভাতা নেয়ার পাশাপাশি অনিয়ম-দুর্নীতিও থেমে নেই। আমলারা দিন দিন আরো শক্তিশালী ও ক্ষমতাবান হয়ে উঠছেন, যা সুশাসনের অন্তরায়। আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য বৃহস্পতিবার ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী। এতে আগামী অর্থবছরে বাজেট ঘাটতির পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ১৪ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। সেক্ষেত্রে আগামী অর্থবছরে জিডিপির বিপরীতে ঘাটতির প্রাক্কলিত হার দাঁড়াচ্ছে ৬ দশমিক ২ শতাংশে। চলতি অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটে এ হার ছিল ৬ দশমিক ১ শতাংশ। এ ঘাটতি পূরণের জন্য আগামী অর্থবছরে সরকার অভ্যন্তরীণ উৎসের ওপরই নির্ভর করতে চাইছে বেশি। চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের তুলনায় ২০২১-২২ অর্থবছরে এনবিআরের মাধ্যমে প্রায় ২৯ হাজার কোটি টাকার কর আয় বাড়ানোর লক্ষ্য ধরা হয়েছে প্রস্তাবে। সাবেক সচিব ফাওজুল কবির খান বণিক বার্তাকে বলেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পারফরম্যান্সের সঙ্গে যুক্ত নয়। এটি অনেকটা উপহার হিসেবে দেয়া হয়। এর সঙ্গে সেবা দেয়ার বিষয়টি যুক্ত না হওয়ায় তাদের মধ্যে সেবা প্রদানের মানসিকতা গড়ে উঠছে না। আগে সরকারি চাকরিকে আশীর্বাদ হিসেবে গ্রহণ করা হতো। পারফরম্যান্স ভালো করার জন্য প্রতিযোগিতা চলত। এখন প্রতিযোগিতা করতে হয় না, এমনিতেই বছর শেষে বেতন-ভাতা নির্ধারিত নিয়মে বেড়ে যাচ্ছে। এটি সঠিক প্রক্রিয়া নয়। নির্দিষ্ট মানদণ্ডের ওপর ভিত্তি করে তাদের বেতন-ভাতা বাড়ানোটাই আন্তর্জাতিক রীতি। তারা এখন এসিআর নিয়ে মাথা ঘামান না। কারণ এটি আর এখন কোনো কাজেই ব্যবহার হয় না।
Read moreCopyright © 2018-2025: Dainik Orthoniti II Design By : F.A.CREATIVE FIRM LTD
Copyright © 2018-2025: Dainik Orthoniti II Design By : F.A.CREATIVE FIRM LTD