নীলফামারী: ভারত থেকে ৪০টি ওয়াগনে আমদানি করা হয়েছে বড় বড় বোল্ডার পাথর। বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ৪০টি...
Read moreবাংলাদেশে এত দিন জোয়ারের সময় সর্বোচ্চ সাড়ে ৯ মিটার গভীরতার জাহাজ সরাসরি বন্দর জেটিতে ভেড়ানোর সুবিধা ছিল। সেই সুবিধা এখন...
Read more২০২০ সালের মধ্য অক্টোবর থেকে বিশ্ব বাণিজ্য ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। বিভিন্ন দেশের শক্তিশালী মুদ্রা ও রাজস্ব নীতির কারণে এই...
Read moreসিঙ্গাপুর, কলম্বো ও মালয়েশিয়ার মতো ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দরগুলোতে অচলাবস্থার কারণে ভয়াবহ জট তৈরি হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দরের রফতানি পণ্য পরিবহনে। এ ছাড়া...
Read moreদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় ৬৫ দিন সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ রয়েছে। গত ২০ মে থেকে আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত এই...
Read moreকঠোর বিধিনিষেধে জরুরি পরিষেবার আওতায় চট্টগ্রাম বন্দর সচল থাকবে। এ সময়ে বন্দরে আমদানি–রপ্তানি কার্যক্রম নির্বিঘ্ন রাখতে ২৭ দফা নির্দেশনা দিয়েছে...
Read moreদিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে পেঁয়াজের পাইকারি দাম কেজিতে ২-৩ টাকা কমেছে। আমদানীকৃত পেঁয়াজের মান খারাপ হওয়ায় এবং চাহিদা কমায় পণ্যটির দাম কমেছে বলে জানান বন্দরসংশ্লিষ্টরা। দুদিন আগেও বন্দরে প্রতি কেজি পেঁয়াজ প্রকারভেদে ২৭-৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। তবে এখন দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ২৪-২৮ টাকায়। এদিকে পেঁয়াজের দাম কমায় স্বস্তি ফিরেছে নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে। ব্যবসায়ীরা জানান, প্রায় এক মাস বন্ধ থাকার পর জুনের প্রথম সপ্তাহে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়। এতে দেশীয় বাজারে পণ্যটির ঊর্ধ্বমুখী দাম কমতে থাকে। আমদানিকারকরা ক্রমাগত পেঁয়াজ আমদানি বাড়ানোয় বেশ কিছুদিন ধরে মূল্যহ্রাসের ধারাবাহিকতা বজায় ছিল। কিন্তু সম্প্রতি লোকসানের কারণে আমদানি কমিয়ে দিয়েছেন আমদানিকারকরা। এতে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। তবে দুদিনের ব্যবধানে সোমবার আবারো পণ্যটির দাম কমেছে। হিলি স্থলবন্দর ঘুরে দেখা গেছে, বন্দর দিয়ে নাসিক ও ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। দুদিন আগেও বন্দরে প্রতি কেজি ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ২৭ টাকা কেজি দরে। বর্তমানে তা কমে ২৪-২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে নাসিক জাতের পেঁয়াজ ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা কমে বিক্রি হচ্ছে ২৮ টাকা কেজি দরে। হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম ও সাদ্দাম হোসেন বলেন, সম্প্রতি পেঁয়াজ আমদানি করে লোকসানের মুখে পড়ায় আমদানিকারকরা পেঁয়াজ আমদানি কমিয়ে দিয়েছেন। ফলে পেঁয়াজের দাম বাড়তির দিকে ছিল। কিন্তু গত দু-তিনদিন টানা বৃষ্টিপাতের কারণে ভারত থেকে আমদানীকৃত পেঁয়াজগুলো মোকাম থেকে শুরু করে বন্দের আসা পর্যন্ত ট্রাকে ত্রিপল বাঁধা অবস্থায় থাকছে। ফলে তীব্র গরমে বন্দরে পৌঁছানোর আগেই পেঁয়াজের মান খারাপ হয়ে যাচ্ছে। অনেক পেঁয়াজ গরমের কারণে পচে নষ্ট হচ্ছে। এছাড়া কয়েকদিনের বৃষ্টিতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মোকামগুলোতে পেঁয়াজের চাহিদা আগের তুলনায় কমেছে। এছাড়া দেশে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বিভিন্ন জেলায় পর্যায়ক্রমে লকডাউন চলছে। ফলে ওইসব অঞ্চলের হোটেল ও হাটবাজার বন্ধ থাকায় পেঁয়াজের চাহিদা কমে গেছে। হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, ৩ জুন থেকে বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। তবে আগে বন্দর দিয়ে ৩০-৩৫ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হলেও বর্তমানে আমদানির পরিমাণ কমে ২০-২৫ ট্রাকে দাঁড়িয়েছে।
Read moreমহামারীর ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে দেশে দেশে নেয়া হয়েছে কৃচ্ছ্র সাধনের নানা উদ্যোগ। গুরুত্ব পাচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, সামাজিক সুরক্ষা ও নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির বিষয়গুলো। অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় গত বছরই সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন-ভাতা কমিয়ে আনার ঘোষণা দেয় কাতার ও ভিয়েতনাম। পরবর্তী সময়ে অন্য অনেক দেশই সরকারি ব্যয়ের খাত সংকুচিত করার পথে হেঁটেছে। যদিও চলমান করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই দেশে গত অর্থবছরের মতো এবারো সরকারি কর্মীর বেতন-ভাতা বাবদ ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। মহামারীর অনেক আগে থেকেই এ ব্যয় বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে বেতন-ভাতায় সরকারের ব্যয় ছিল ২৮ হাজার ৮২০ কোটি টাকা, যা ২০২৩-২৪ অর্থবছর নাগাদ ৯২ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে প্রক্ষেপণ করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। সেক্ষেত্রে এক দশকে বেতন-ভাতা বাবদ সরকারের ব্যয় বৃদ্ধির হার দাঁড়াচ্ছে ২২১ শতাংশের বেশিতে। বৃহস্পতিবার সংসদে অর্থমন্ত্রীর উপস্থাপিত তথ্যে দেখা যায়, আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বাবদ বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৭১ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা। এ ব্যয় মোট পরিচালন বাজেটের ১৯ শতাংশ। আর পরিচালন বাজেটের ৭ দশমিক ৭ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে পেনশন পরিশোধে। সে হিসেবে বেতন-ভাতা ও পেনশন পরিশোধেই পরিচালন বাজেটের ২৬ দশমিক ৭ শতাংশ অর্থ ব্যয় হবে। ‘মধ্যমেয়াদি সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি বিবৃতি ২০২১-২২ থেকে ২০২৩-২৪’ শীর্ষক বাজেট প্রকাশনার তথ্যমতে, বেতন-ভাতা খাতে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে সরকারের ব্যয় ছিল ৪০ হাজার ৫০ কোটি টাকা। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বেতন-ভাতা বাবদ ব্যয় বাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকার বেশি। চলতি অর্থবছরের সংশোধিত হিসাবে এ খাতে সরকারের ব্যয় ৬৫ হাজার ৬১০ কোটি টাকা। আর আগামী অর্থবছরে মোট বাজেটের ১১ দশমিক ৮ শতাংশ ব্যয় ধরা হয়েছে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন-ভাতা বাবদ। ২০২২-২৩ অর্থবছরে এ খাতে সরকারের ব্যয় ৮১ হাজার ৪৩০ কোটি ও পরের অর্থবছরে তা ৯২ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে প্রক্ষেপণ করা হয়েছে। সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, কয়েক বছর ধরে রাষ্ট্রের কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বাবদ ব্যয়িত অর্থের পরিমাণ বেড়েই চলছে। সরকার নানাভাবে আমলাতন্ত্রের ওপর নির্ভর হয়ে যাওয়ার কারণে এমনটি ঘটছে। এ খাতে ব্যয় বৃদ্ধির কারণে অর্থনীতি দুদিক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। একদিকে আমলাদের জন্য বরাদ্দ বাড়াতে গিয়ে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ দেয়া যাচ্ছে না। অন্যদিকে বড় অংকের বেতন-ভাতা নিয়েও বাজেট বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আমলারা চরমভাবে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছেন। চলতি অর্থবছরেও বাজেট বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আমলারা অদক্ষতা, সমন্বয়হীনতা ও অব্যবস্থাপনার অনেক দৃষ্টান্ত তৈরি করেছেন। এত টাকা বেতন-ভাতা নেয়ার পাশাপাশি অনিয়ম-দুর্নীতিও থেমে নেই। আমলারা দিন দিন আরো শক্তিশালী ও ক্ষমতাবান হয়ে উঠছেন, যা সুশাসনের অন্তরায়। আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য বৃহস্পতিবার ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী। এতে আগামী অর্থবছরে বাজেট ঘাটতির পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ১৪ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। সেক্ষেত্রে আগামী অর্থবছরে জিডিপির বিপরীতে ঘাটতির প্রাক্কলিত হার দাঁড়াচ্ছে ৬ দশমিক ২ শতাংশে। চলতি অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটে এ হার ছিল ৬ দশমিক ১ শতাংশ। এ ঘাটতি পূরণের জন্য আগামী অর্থবছরে সরকার অভ্যন্তরীণ উৎসের ওপরই নির্ভর করতে চাইছে বেশি। চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের তুলনায় ২০২১-২২ অর্থবছরে এনবিআরের মাধ্যমে প্রায় ২৯ হাজার কোটি টাকার কর আয় বাড়ানোর লক্ষ্য ধরা হয়েছে প্রস্তাবে। সাবেক সচিব ফাওজুল কবির খান বণিক বার্তাকে বলেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পারফরম্যান্সের সঙ্গে যুক্ত নয়। এটি অনেকটা উপহার হিসেবে দেয়া হয়। এর সঙ্গে সেবা দেয়ার বিষয়টি যুক্ত না হওয়ায় তাদের মধ্যে সেবা প্রদানের মানসিকতা গড়ে উঠছে না। আগে সরকারি চাকরিকে আশীর্বাদ হিসেবে গ্রহণ করা হতো। পারফরম্যান্স ভালো করার জন্য প্রতিযোগিতা চলত। এখন প্রতিযোগিতা করতে হয় না, এমনিতেই বছর শেষে বেতন-ভাতা নির্ধারিত নিয়মে বেড়ে যাচ্ছে। এটি সঠিক প্রক্রিয়া নয়। নির্দিষ্ট মানদণ্ডের ওপর ভিত্তি করে তাদের বেতন-ভাতা বাড়ানোটাই আন্তর্জাতিক রীতি। তারা এখন এসিআর নিয়ে মাথা ঘামান না। কারণ এটি আর এখন কোনো কাজেই ব্যবহার হয় না।
Read moreজুন, জুলাই এবং আগস্টে প্রতি মাসে ৫০ লাখ করে ডোজ চীনা টিকা আসবে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। আজ সোমবার সচিবালয়ে...
Read moreফাইন্যান্স কোম্পানি আইন ২০২১ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সভা পরবর্তি ব্রিফিং এ তথ্য জানিয়েছেন শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার...
Read moreCopyright © 2018-2025: Dainik Orthoniti II Design By : F.A.CREATIVE FIRM LTD
Copyright © 2018-2025: Dainik Orthoniti II Design By : F.A.CREATIVE FIRM LTD