এশিয়া কাপে ‘বি’ গ্রুপের শেষ ম্যাচ আজ। মুখোমুখি আফগানিস্তান এবং শ্রীলঙ্কা। এরই মধ্যে ২ ম্যাচ জিতে সুপার ফোরে এক পা প্রায় দিয়ে রেখেছে শ্রীলঙ্কা। সুপার ফোর নিশ্চিত করতে হলে আজ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অবশ্যই জিততে হবে আফগানিস্তানকে।
তবে, এই ম্যাচের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বাংলাদেশের ভাগ্যও। কারণ, আফগানিস্তানের জয় মানেই বাংলাদেশের বিদায় নিশ্চিত হয়ে যাওয়া। যে কারণে, নিশ্চিতভাবেই বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা আজ শ্রীলঙ্কার সমর্থক।
জটিল হিসাব-নিকাশ
শ্রীলঙ্কা আর আফগানিস্তানের ম্যাচটি ঘিরে তৈরি হয়েছে জটিল হিসাব-নিকাশ। যদি আফগানিস্তানকে শ্রীলঙ্কা হারিয়ে দেয়, তাহলে কোনো অংকই কষা লাগবে না, এমনিতেই শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ পৌঁছে যাবে সুপার ফোরে। কিন্তু সমস্যা বাধবে যদি আফগানিস্তান জিতে যায়।
যদি শ্রীলঙ্কা আগে ব্যাট করে ১৫০ রান তোলে, তবে আফগানিস্তানকে সেটা ১১.৪ ওভারের মধ্যে তাড়া করতে হবে সুপার ফোরে ওঠার জন্য। আবার আফগানিস্তান ১৫০ করলে, শ্রীলঙ্কাকে ৮৪ রানের নিচে গুটিয়ে দিতে হবে, তাহলেই বাংলাদেশ জায়গা করে নেবে পরের রাউন্ডে।
অর্থাৎ, সহজ সমীকরণ— আফগানিস্তানের জয়ের বিকল্প নেই। বাংলাদেশ চাইবে শ্রীলঙ্কা জয়ী হোক। তবে শ্রীলঙ্কা যদি হারে, সেটা হতে হবে বড় ব্যবধানে।
আফগানিস্তানের ভরসা তারকা লেগস্পিনার রশিদ খান, শ্রীলঙ্কার হয়ে সমান কার্যকরী ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। দুই দলই অলরাউন্ডার নির্ভর এবং শক্তিশালী বোলিং ইউনিটের জন্য পরিচিত। তবে ব্যাটিং লাইনআপের নড়বড়ে ভাব দু’পক্ষের জন্যই চিন্তার বিষয়।
শ্রীলঙ্কা সর্বশেষ ম্যাচে হংকংয়ের কাছে প্রায় হেরেই বসেছিল, আর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অলআউট হয়েছিল মাত্র ৮০ রানে। অন্যদিকে আফগানিস্তান শ্রীলঙ্কাকে আটবারের লড়াইয়ে তিনবার হারিয়েছে।
রহমানউল্লাহ গুরবাজ: শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৬ ম্যাচে ২৪৮ রান করেছেন ১৭২ স্ট্রাইক রেটে। এলপিএলে খেলার অভিজ্ঞতা তাকে বাড়তি সুবিধা দিতে পারে।
দুষ্মন্তে চামিরা: শ্রীলঙ্কার দ্রুত গতির পেসার, ইনিংসের শুরুতে আর শেষ দিকে তার নিয়ন্ত্রিত বোলিং ম্যাচ ঘুরিয়ে দিতে পারে।
আফগানিস্তান: সেকিদুল্লাহ অটল, রহমানউল্লাহ গুরবাজ (উইকেটরক্ষক), ইব্রাহিম জাদরান, গুলবাদিন নাইব, মোহাম্মদ নবি, আজমতউল্লাহ ওমরজাই, করিম জানাত, রশিদ খান (অধিনায়ক), নূর আহমাদ, এএম গজনফর, ফজলহক ফারুকি।
শ্রীলঙ্কা: পাথুম নিশাঙ্কা, কুশল মেন্ডিস (উইকেটরক্ষক), কামিল মিশারা, কুশল পেরেরা, চারিথ আসালঙ্কা (অধিনায়ক), কামিন্দু মেন্ডিস, দাসুন শানাকা, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, দুষ্মন্তে চামিরা, মহেশ থিকশানা, নুয়ান থুশারা।
	    	
                                
		    






