আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম রেকর্ড বেড়েছে। এ কারণে এশিয়ার প্রধান বাজারগুলোয় চলতি সপ্তাহে মূল্যবান ধাতুটির চাহিদা কমেছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম রেকর্ড বেড়েছে। এ কারণে এশিয়ার প্রধান বাজারগুলোয় চলতি সপ্তাহে মূল্যবান ধাতুটির চাহিদা কমেছে। বাড়তি এ দামের সুযোগ নিয়ে অনেক ক্রেতাই পুরনো মজুদ থেকে স্বর্ণ বিক্রি করছেন।
ভারতের স্থানীয় বাজারে গত শুক্রবার প্রতি ১০ গ্রাম স্বর্ণের দাম দাঁড়ায় প্রায় ১ লাখ ২ হাজার ১০০ রুপিতে (১ হাজার ১৬৫ ডলার ৪৫ সেন্ট)। এর আগে দেশটিতে প্রতি ১০ গ্রাম স্বর্ণের দাম রেকর্ড ১ লাখ ২ হাজার ১৯১ রুপিতে পৌঁছেছিল। উল্লেখ্য, সরকার নির্ধারিত দামের বিপরীতে এতে ৬ শতাংশ আমদানি শুল্ক ও ৩ শতাংশ বিক্রয় কর অন্তর্ভুক্ত আছে।
ভারতে চলতি সপ্তাহে প্রতি আউন্স স্বর্ণ ৯ ডলার ছাড় থেকে শুরু করে ২ ডলার পর্যন্ত মূল্য সংযোজন (প্রিমিয়াম) করে বেচাকেনা হচ্ছে। গত সপ্তাহে দেশটিতে সর্বোচ্চ ৭ ডলার ছাড়ে স্বর্ণ বেচাকেনা হয়েছিল।
এ বিষয়ে মুম্বাইভিত্তিক পাইকারি ব্যবসায়ী আশোক জৈন বলেন, ‘বর্তমান দামে ক্রেতারা স্বর্ণ কিনতে আগ্রহী নন। বরং অনেক বিনিয়োগকারী দাম কম থাকায় আগে কেনা স্বর্ণের বার ও মুদ্রা এখন বিক্রি করছেন।’
বেসরকারি ব্যাংকের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী জানান, যুক্তরাষ্ট্রে শুল্ক আরোপের কারণে ভারতের বাজারে চাহিদা কমতে পারে। ফলে ভারতীয় রফতানিকারকরা নতুন স্বর্ণ ক্রয়ে আগ্রহী হচ্ছেন না।
বিশ্বের শীর্ষ স্বর্ণ ব্যবহারকারী দেশ চীন। দেশটি চলতি সপ্তাহে স্পট দামের সমান থেকে ২ ডলার পর্যন্ত মূল্য সংযোজন করে স্বর্ণ বেচাকেনা করেছে। গত সপ্তাহে এটি ছিল আউন্সপ্রতি ৪ ডলার ২০ সেন্ট ছাড় থেকে ১২ ডলার প্রিমিয়াম পর্যন্ত। হংকংয়ে প্রতি আউন্স স্বর্ণ স্পট দামের সমান থেকে ১ ডলার ৬০ সেন্ট প্রিমিয়ামে, আর সিঙ্গাপুরে ২ ডলার ৫০ সেন্ট প্রিমিয়ামে লেনদেন হয়েছে।
সিঙ্গাপুরভিত্তিক গোল্ডসিলভার সেন্ট্রালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্রায়ান ল্যান বলেন, ‘দাম বেড়ে যাওয়ায় খুচরা ও পাইকারি উভয় ক্ষেত্র থেকেই বিক্রি বেড়েছে। বর্তমানে অনেকেই ঋণ হিসেবে স্বর্ণ নিচ্ছেন। কারণ দাম তুলনামূলক বেশি।’
টোকিওভিত্তিক এক ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, জাপানে স্বর্ণ স্পট মূল্যের তুলনায় ২৫ সেন্ট প্রিমিয়ামে বিক্রি হয়েছে।