দেশের সামুদ্রিক জলসীমায় ৬৫ দিন সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ রয়েছে। গত ২০ মে থেকে আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে। এদিকে চলছে সরকার ঘোষিত ১৪ দিনের কঠোর লকডাউন। ফলে বাজারে মাছের সরবরাহ কমে যাওয়ায় বেড়ে গেছে দাম। যা নিয়ে বিপাকে পড়েছে সাধারণ জনগণ। সরেজমিনে নগরীর ফিশারিঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মাছ ধরার ট্রলারগুলো সারি করে বাঁধা। জেলেদের মাছ ধরার জালগুলো পড়ে আছে ঘাটে। আড়তগুলোতে নেই তেমন ব্যস্ততা। শুধু কিছু দেশীয় মাছ ও মিয়ানমার থেকে আসা রুই কাতলা মাছগুলোতে বরফ দিয়ে আড়তে রাখছেন জেলেরা। লকডাউনের কারণে আড়তগুলোতেও মানুষের ভিড় কম। এদিকে, সমুদ্রে মাছ ধরা নিষিদ্ধকালে জেলেদের জন্য ১৬ হাজার ৭২১ মেট্রিক টন ভিজিএফ বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। কিন্তু আড়ত মালিকদের জন্য দেয়া হয়নি কোন প্রণোদনা কিংবা বরাদ্দ। এর সাথে লকডাউন মিলিয়ে তাদের ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছেন বলে জানালেন তারা। মো. আমিনুল হক মহাসচিব, সামুদ্রিক মৎস্য আহরণকারী বোট মালিক সমিতি, চট্টগ্রাম ক্ষতি পুষিয়ে নিতে তিনি সরকারকে মাছ ধরার এ বিধিনিষেধ ৬৫ দিন থেকে কমিয়ে ৪০ দিনে আনার অনুরোধ জানান বাইট এদিকে, সামুদ্রিক মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা থাকায় বাজারে বেড়ে গেছে সব ধরণের মাছের দাম। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২৩ জুলাইয়ের পর সারা দেশে মাছ ধরা শুরু হলে তখন হয়ত কমতে পারে মাছের দাম। বর্তমানে দেশীয় পুকুরের বিভিন্ন মাছ ও মিয়ানমার থেকে আসা রুই কাতলা দিয়ে মাছের চাহিদা মেটানো হচ্ছে।