আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিন তেল ও সয়াবিনজাত প্রাণিখাদ্যের রপ্তানি সীমিত করার ঘোষণা দিয়েছে বিশ্বে এই পণ্যের শীর্ষ রপ্তানিকারক দেশ আর্জেন্টিনা। রোববার এক বিবৃতিতে দেশটি বিদেশি ক্রেতাদের কাছ থেকে প্রক্রিয়াজাত সয়াবিন পণ্য বিক্রির আদেশ নেওয়া আপাতত সীমিত রাখার কথা জানায়।
আর্জেন্টিনার সরকার বর্তমানে ঋণে জর্জরিত। তাই সয়াবিন বিক্রি থেকে রাজস্ব বাড়াতে মনোযোগী হয়েছে তারা। এ জন্য সরকার সয়াবিন রপ্তানির ওপর শুল্ক বাড়াতে চায়। আর্জেন্টিনার সয়াবিন তেল ও খাবার রপ্তানিতে বর্তমানে ৩১ শতাংশ হারে শুল্ক-কর দিতে হয়, যদিও এ বিষয়ে আর্জেন্টিনা সরকারের বিবৃতিতে কিছু উল্লেখ করা হয়নি। আর্জেন্টিনার তেলবীজ প্রক্রিয়াকরণ ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন সিআইএআরএ দাবি করেছে, সরকারের সিদ্ধান্ত আর্জেন্টিনার রপ্তানি স্বার্থের সম্পূর্ণ বিপরীত। এটি করা হলে বৈদেশিক মুদ্রার আয় ও কৃষি খাতের কর্মসংস্থানে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
সিঙ্গাপুরের একজন ব্যবসায়ী বলেন, ক্রেতাদের এখন খরচ কমানো বা সরবরাহের জন্য বিকল্প উৎসের সন্ধান করা ছাড়া বিকল্প নেই। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায়, বিশেষ করে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডের ক্রেতারা আর্জেন্টিনার সয়াবিন তেল ও প্রক্রিয়াজাত সয়া পণ্যের ওপর অনেক বেশি নির্ভরশীল। এসব দেশের আমদানিকারকেরা এখন চাহিদা মেটাতে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলের মতো বিকল্প বাজারের দিকেই ঝুঁকবেন।
যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের তথ্যানুসারে, ২০২১-২২ মৌসুমে বিশ্বে সয়াবিনজাত প্রাণিখাদ্য ও সয়াবিন তেলের বৈশ্বিক রপ্তানিতে আর্জেন্টিনার হিস্যা দাঁড়াতে পারে যথাক্রমে ৪১ ও ৪৮ শতাংশ। দেশটি চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫০ লাখ টন সয়া পণ্য রপ্তানির আদেশ পেয়েছে।