সংঘাত দীর্ঘায়িত হলে বাংলাদেশেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে শঙ্কা অর্থনীতিবিদের।
এ ছাড়া রাশিয়ার মতো তৈরি পোশাকের সম্ভাবনাময় বড় বাজার হারানোর শঙ্কাও করছেন উৎপাদকরা।
দেশে গত নভেম্বরে সর্বশেষ জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পর পরিবহন ভাড়াসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়ে যায়। যার ধাক্কা সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ।
এ অবস্থায় মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দেখা দিচ্ছে ইউক্রেন সংকট। দুই দেশের সংঘাতে ইতোমধ্যে জ্বালানি তেলের দাম প্রতি ব্যারেল ১০০ ডলার ছাড়িয়েছে। রাশিয়া ও ইউক্রেনের সঙ্গে সরাসরি বাণিজ্য রয়েছে বাংলাদেশের।
গত ২০২০-২১ অর্থবছরে রাশিয়ায় ৬৬ কোটি ৫৩ লাখ মার্কিন ডলার মূল্যের তৈরি পোশাক, পাটসহ বিভিন্ন পণ্য রফতানি হয়েছে। বাংলাদেশ বছরে প্রায় ৫০ লাখ টন গম আমদানি করে। যার এক-তৃতীয়াংশ আসে রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশ দুটিতে পণ্য পাঠানো কিংবা কাঁচামাল আমদানির ক্ষেত্রে জাহাজ পাওয়া নিয়ে জটিলতা তৈরি হবে। রফতানি আদেশের বিষয়ে সতর্ক থাকবেন তৈরি পোশাকের ক্রেতারাও।
সংঘাত দীর্ঘ হলে পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করবে বলে আশঙ্কা করছেন অর্থনীতিবিদরা।
এ অবস্থায় আমদানি পণ্যের বিকল্প উৎস খোঁজার পাশাপাশি রফতানি বাজার ধরে রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।