ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার এবারের আসর শেষ হয়েছে। এবার ১ কোটি ৬০ লাখ ডলারের রফতানি আদেশ এক মাস ধরে ক্রেতা-বিক্রেতায় মুখর এই মেলায়।
ভ্যাট আদায় হয়েছে দেড় কোটি টাকার। এবং আনুমানিক ৪০ কোটি টাকা মূল্যের পণ্য বিক্রি হয়েছে।
মেলার ছোট বড় প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা প্রথম দিকে শঙ্কা জানালেও, মেলার শেষ দিনটিতে মাসব্যাপী বিক্রি ও পণ্যের প্রচার নিয়ে সন্তুষ্টির কথা জানান।
মেলায় পণ্য বিক্রির বিষয়ে তারা বলেন, মেলার শেষ দিনে আমরা বলতে পারি যে এ মেলা ১০০ শতাংশ সফল হয়েছে। নতুন জায়গা হিসেবে বেশ ভাল সাড়া পেয়েছি। বিক্রয়ের লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। যতটুকু আশা করেছিলাম, তার থেকে বেশি সাড়া পেয়েছি।
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্ত্রগীর গাজী মেলা আয়োজনের জায়গা বাড়ানোর তাগিদ দেন। তিনি বলেন, সবাই যখন মেলায় আসতে চেষ্টা করবে তখন আপনি আর জায়গা দিতে পারবেন না।
বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন জানান ,নতুন নতুন পণ্য আমাদের নিয়ে আসতে হবে। আমরা যে ৩০০ মিলিয়নের স্বপ্ন দেখছি, শুধু গার্মেন্টস দিয়ে তা পূরণ করা যাবে না।
এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে করণীয় ঠিক করেই কাজ করে যাচ্ছে সরকার। বিদেশি বিনিয়োগ, আমাদের নিজস্ব পণ্যের বৈচিত্র নিয়ে আসা, নতুন নতুন বাজার সৃষ্টি করা। এসব নিয়েই আমাদের কাজ করতে হবে। মানুষের মাথাপিছু আজ যা আজ ২ হাজার ৫০০ ডলার আছে, সেটা হয় তো ৮ বছরের মধ্যে ৩ হাজার ডলার ছাড়িয়ে যাবে।
অপরদিকে আয়োজক প্রতিষ্ঠান রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) আশা করছে, এবারের ত্রুটি-বিচ্যুতি কাটিয়ে আগামী বছর থেকে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা, পূর্বাচলের স্থায়ী এই ঠিকানায় আরও জমজমাট হয়ে উঠবে।
অনুষ্ঠান শেষে প্যাভিলিয়নগুলোর স্থাপত্য শৈলী বিবেচনায় নিয়ে পুরস্কার দেওয়া হয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে।