জলজপ্রাণী ঝিনুক।দেখা যায় সাগরে। এই ঝিনুক থেকেই তৈরি হয় মুক্তা।এই মুক্ত সব ধরণের ঝিনুকে পাওয়া যায় না। মুক্তা তৈরী হয় এক বিশেষ ধরনের ঝিনুক থেকে। বেশ সময় সাপেক্ষ এই মুক্ত তৈরি করা।
কোনো বালুকণা ঝিনুকের খোলে ঢুকে পড়লে তখন ঝিনুক নেকর বা শুক্তিপুট নামের এক পদার্থ দিয়ে সেটা ঢেকে ফেলে। যাকে বলে মাদার অব পার্ল।
কয়েক বছরের মধ্যে এর ওপরে পড়তে থাকে একটার পর একটা আবরণ। এভাবে প্রক্রিয়া করে তৈরি হয় মুক্তা। মুক্তার প্রকৃতি, রং এবং আকার নির্ভর করে শুক্তিপুটের রং আর মূল উপাদানের গঠনের ওপর।
সব ঝিনুকে মুক্তা হয় না। আবার সব মুক্তাই যে মূল্যবান তা কিন্তু নয়। সাল ১৯৩৪ সালে পাওয়া গিয়েছিল বিরাট এক মুক্তা।
ওজনে ৭ কেজি সেই মুক্তার দাম ধরা হয়েছিল সাড়ে তিন কোটি মার্কিন ডলার। ২০০৬ সালে ফিলিপাইনে সন্ধান মিলে প্রায় ৩৭ কেজি ওজনের বিরাট মুক্তা। তার দাম ধরা হয়েছিল প্রায় ১০ কোটি মার্কিন ডলার।
গিনেস বুকের তথ্যানুসারে সর্বশেষ ডেনমার্ক থেকে পাওয়া বড় ঝিনুকটি হলো প্যাসিফিক অয়েস্টার বা প্রশান্ত মহাসাগরীয় জাতের ঝিনুক। এর দৈর্ঘ্য ছিল প্রায় ১৪ ইঞ্চি।
তাহলে কি ঝিনুক থেকে মুক্তা নিয়ে নিলে ঝিনুক মারা যায়? মুক্তাচাষিরা সাবধানতার সঙ্গে বিশেষ ছুরির সাহায্যে মুক্তা বের করে। যার কারণে ঝিনুকের কোনা ক্ষতি হয় না বরং পরবর্তীতে আবারও মুক্তা উৎপাদন করতে পারে।
সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো যে, পুরুষ ঝিনুক থেকে মুক্তা আসলেও তিন বছর বয়সের মধ্যে এটি মেয়েতে রূপান্তরিত হয়। পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ায় অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছিল দুই হাজার বছরের পুরনো মুক্তা।