চালের দাম বস্তা প্রতি ২০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে আর ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে মণপ্রতি ১০০ টাকা এক সপ্তাহের ব্যবধানে।
এ বিষয়ে ব্যবসায়ীরা বলছেন, মোকামের কারসাজির কারণে চালের বাজার ঊর্ধ্বমুখী। এদিকে ভোজ্যতেলের আন্তর্জাতিক বুকিং রেট বাড়ার অজুহাত মিলমালিকদের।
চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে বিভিন্ন দেশ থেকে সমুদ্র ও স্থলপথে আমদানি হওয়া ভোগ্যপণ্য প্রথমে আসে দেশের বৃহত্তম পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে।এরপর তা চলে যায় সারা দেশে।
সব ধরনের ভোজ্যতেলের দাম মণপ্রতি ১০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। সোমবার (২৪ জানুয়ারি) এখানে পামওয়েল মণপ্রতি বিক্রি হয় ৫ হাজার ১৬০ টাকা আর সয়াবিন বিক্রি হয় ৫ হাজার ৬৬০ টাকায় গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে খাতুনগঞ্জের পাইকারি পর্যায়ে।
বিক্রেতারা বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে নাকি পণ্যের ঘাটতি। সেই সঙ্গে বুকিং রেট বেশি। আমরা তো দ্বিতীয় পার্টি, যারা প্রথম পার্টি তারা আমাদের এগুলো বলছে।
বেড়েছে চালের দামও এ বিষয়ে বিক্রেতারা জানান, এগুলো মিলারের কারসাজি। আরেকটি কারণ হচ্ছে করোনা পরিস্থিতি।
পুরনো চাল বস্তাপ্রতি ২০০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৭৩০ টাকায় এবং নতুন চাল বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৭৫০ টাকায়।
পর্যাপ্ত আমদানির কারণে এক সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজ ও আদার দাম কমলেও রসুন কেজিতে বেড়েছে ৫ টাকা। রসুনের দর নিয়ে বিক্রেতারা বলেন, রসুনের বাজার গত সপ্তাহ থেকে একটু বেশি। গত সপ্তাহে ছিল ৮৫ টাকা। এখন তা বেড়ে হয়েছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকা।