চলছে মাসব্যাপী শিল্প ও বাণিজ্য মেলা স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে ওমিক্রন ঝুঁকির মধ্যেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। নতুন ধরণ ওমিক্রন ছড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন অনেকে মেলায় ক্রেতা দর্শনার্থীদের ভিড়ে। তাই এখনই কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি বলে মনে করছেন সচেতন মহল। এ অবস্থায় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, শিগগিরই এ ব্যপারে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
মাসব্যাপী শিল্প ও বাণিজ্য মেলা শুরু হয়েছে গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার্স অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির আয়োজনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের নিয়াজ মুহাম্মদ স্টেডিয়ামের সামনে (আউটার স্টেডিয়ামে)
দেখা গেছে, সীমিত পরিসরে আয়োজিত এ মেলার প্রঙ্গনে ক্রেতা দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়। মেলায় প্রবেশের পর অনেক ক্রেতা-দর্শনার্থীর মুখেই মাস্ক নেই। ভিড়ের মধ্যে গাদাগাদি করে ক্রেতা-বিক্রোতারা পণ্য বেচাকেনা করছেন।
দর্শনার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, এই মেলায় স্বাস্থ্যবিধির মানার ক্ষেত্রে আয়োজকদের অনেকটাই উদাসীন ভাব লক্ষ্য করা গেছে। কেউ মাস্ক ছাড়া মেলায় প্রবেশ করলেও আয়োজকদের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। এতে ওমিক্রন বিস্তারের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা। তাই আয়োজকদের এ বিষয়ে সচেতনতার পাশাপাশি পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি বলে মনে করছেন তারা।
এদিকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মেলায় আসা বিক্রেতারাও মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি। তারা নানা ওজুহাতে মাস্ক না ব্যবহারের পক্ষে নানা যুক্তি তুলে ধরছেন।
একজন বিক্রেতা বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে মানুষ কোনো কিছুই ভয় পায় না। আনন্দের মধ্যে মানুষ সবকিছুই ভুলে যায়। সেভাবেই মানুষ ঘোরাফেরা করছে। স্বাস্থ্যবিধি যে যার মতো করে মেনে চলছে। এর মধ্যে বেচাকেনা ভালই চলছে। মাস্ক আমাদেরও রয়েছে।
এ বিষয়ে মেলা পরিচলনা কমিটির আহ্বায়ক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার্স অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্টির পরিচালক মো: শাহ আলম বলেন, আমরা মাসব্যাপী মেলা পরিচালনার অনুমতি পেয়েছি। মেলায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে দর্শনার্থীদের প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। তবে বর্তমানে আমাদের দেশের যে পরিস্থিতি সরকার যতদিন আমাদের মেলা পরিচালনার কথা বলবে, ঠিক ততদিন আমরা মেলা পরিচালনা করব।
এ বিষয়ে মেলা পরিচলনা কমিটির আহ্বায়ক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার্স অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্টির পরিচালক মো: শাহ আলম বলেন, আমরা মাসব্যাপী মেলা পরিচালনার অনুমতি পেয়েছি। মেলায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে দর্শনার্থীদের প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। তবে বর্তমানে আমাদের দেশের যে পরিস্থিতি সরকার যতদিন আমাদের মেলা পরিচালনার কথা বলবে, ঠিক ততদিন আমরা মেলা পরিচালনা করব।
মেলার বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডা. একরাম উল্লাহ্ বলেন, গণজমায়েত করোনা সংক্রামণ ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। সে জন্য গনজমায়েত জাতীয়ভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সরকার যে বিধিনিষেধ দিয়েছেন, তা যেন যথাযথভাবে প্রতিপালন করা হয় আমরা সে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
এসময় তিনি বাণিজ্য মেলার ঝুঁকির বিষয়টি উল্লেখ করে আলোচনার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানান।