সুপরিচিত একটি ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেলের পরিবেশক এসকে ট্রেডার্সের মালিক আল মামুন আর কোনো প্রতিষ্ঠানকে বাকিতে পণ্য দেবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। প্রতারণার অভিযোগে তদন্তের মুখে থাকা একটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের কাছে তাঁর পাওনা সাত কোটি টাকা।
আল মামুন বলেন, ‘আগাম টাকা না দিলে এখন আর কাউকে মোটরসাইকেল দিই না। আমার শিক্ষা হয়েছে।’
এটা গেল ই-কমার্স খাতের একজন পণ্য সরবরাহকারীর কথা। একজন গ্রাহকের কথা জানা যাক। দুটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানে টাকা দিয়েও পণ্য না পাওয়া বেসরকারি চাকরিজীবী কামরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, তিনি এখন পণ্য হাতে পেয়ে তবেই টাকা পরিশোধ করেন, যাকে বলা হয় ‘ক্যাশ অন ডেলিভারি’। কারণ, তাঁরও শিক্ষা হয়েছে।
দেশে বিকাশমান ই-কমার্স খাতে এই ‘শিক্ষা হওয়ার’ ঘটনা প্রভাব ফেলেছে ব্যবসার ওপর। কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের প্রতারণায় স্বাভাবিকভাবে ব্যবসা করা সুপরিচিত প্রতিষ্ঠানগুলোও বিপাকে পড়েছে। তিন ধরনের নেতিবাচক প্রভাবের কথা সামনে আনছেন উদ্যোক্তারা।
যেমন ১. সার্বিকভাবে পণ্য বিক্রি কমেছে। কারও কারও ক্ষেত্রে বিক্রি না কমলেও বাড়ার হার কমেছে।
২. আগের চেয়ে বেশিসংখ্যক ক্রেতা এখন পণ্য হাতে পেয়ে তারপর মূল্য পরিশোধ করছেন এবং অনেক ক্ষেত্রে সরবরাহকারী বাকিতে পণ্য দিতে রাজি হচ্ছেন। এতে প্রতিষ্ঠানে নগদ অর্থ বেশি লাগছে, যা ব্যবসার খরচ বাড়িয়ে দিচ্ছে।
৩. নতুন ক্রেতা যুক্ত হওয়ার প্রবণতা কমেছে।
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আজকেরডিলডটকমের প্রধান নির্বাহী ফাহিম মাশরুর বলেন, তাঁর পর্যালোচনা অনুযায়ী পুরো ই-কমার্স খাত মিলিয়ে ফরমাশ ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ কমেছে।