চিনির দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারের বেঁধে দেওয়া দামের কোনো প্রভাব পড়েনি বাজারে। এখনও আগের উচ্চমূল্যে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের চিনি।
মিলাররা বলছেন সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই। তারা দামও কমিয়েছেন। কিন্তু ব্যবসায়ীরা বলছেন, পর্যাপ্ত চিনি পাওয়া যাচ্ছে না। আগের দামেই কিনতে হচ্ছে। তাই খুচরা পর্যায়ে দাম কমানো যাচ্ছে না।
অন্যদিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে, তারা বাজার মনিটরিং করে দেখেছেন, সরকারের বেঁধে দেওয়া দামেই চিনি বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে ৭৮ থেকে ৮০ টাকায় খোলা আর প্যাকেটের চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮২ টাকা কেজি দরে। পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, মিল গেটে দাম না কমলে পাইকারি ও খুচরা বাজারে চিনির দাম কমবে না। পাশাপাশি বাজারে চিনির সরবরাহে ঘাটতি রয়েছে। পর্যাপ্ত চিনি পাওয়া যাচ্ছে না। এ জন্য সরকারের মিনিটরিং ব্যবস্থায় আরও কঠোর হতে হবে।
মিলের মালিকরা বলছেন, সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই। চিনির দাম অনেক আগেই কেজিতে ৫ টাকা কমানো হয়েছে। আর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে, বাজারে নির্ধারিত নতুন দামে চিনি পাওয়া যাচ্ছে। নতুন দাম কার্যকরে মনিটরিং টিম কাজ করছে।
প্রসঙ্গত, দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রথমবারের মতো চিনির দাম বেধে দিয়েছে সরকার। এখন থেকে প্রতি কেজি খোলা চিনির দাম ৭৪ টাকা এবং প্যাকেট চিনির দাম ৭৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত ১০ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন দাম কার্যকর করা হয়েছে।
শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর পাইকারি বাজার ও খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দেশের বাজারে হঠাৎ করেই লাফিয়ে উঠেছে চিনির দাম। মৌলভিবাজারে প্রতিবস্তা (৫০ কেজি) চিনি বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৭৫০ থেকে ৩ হাজার ৭৬০ টাকা, প্রতি কেজি ৭৫ টাকা থেকে ৭৫ টাকা ২০ পয়সা।
চিনির দাম দুই মাস আগেও ছিল ৩ হাজার ১০০ টাকা বস্তা, প্রতি কেজি ৬২ টাকা। সে হিসেবে তিন মাসের ব্যবধানে চিনির দাম বস্তায় বেড়েছে ৬৫০ টাকা এবং কেজিতে বেড়েছে ১৩ টাকা। আর খুচরা পর্যায়ে গত দুই তিন মাসে কেজি প্রতি চিনির দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১২ টাকা।
তিন মাস আগেও প্রতি কেজি চিনির দাম ছিল ৭০ টাকার নিচে। এখন খোলা চিনি খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৭৮ থেকে ৮০ টাকা। প্যাকেটজাত চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮২ টাকার মধ্যে।