সিসিটি, এনসিটি বিদেশিদের কাছে হস্তান্তর প্রক্রিয়ার প্রতিবাদে সোমবার (২৪ নভেম্বর) অবরোধ কর্মসূচি দিয়েছে বন্দর রক্ষা পরিষদ।
শনিবার (২২ নভেম্বর) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা দেন গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদ সদস্য হাসান মারুফ রুমী।
তিনি বলেন, সরকার যখন বলে বন্দরে দুর্নীতি হয় তখন সরকারের কাজ তদন্ত কমিটি করা। তিনটি কাজ সরকারের, বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন। চট্টগ্রাম বন্দর অর্থনীতির লাইফলাইন। আগে তদন্ত করেন বন্দরের কোথায় কোথায় দুর্নীতি আছে। তারপর সংস্কার করেন কীভাবে দুর্নীতিমুক্ত বন্দর পরিচালনা করতে হয়। বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে সিসিটি, এনসিটি দেওয়ার পরিষ্কার বিরোধিতা করতে চাই আমরা। লালদিয়া কনটেইনার টার্মিনালে সম্ভাব্য বিনিয়োগের ৫ হাজার ৪০০ কোটির মধ্যে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার ইক্যুইপমেন্ট লাগবে। এ টাকা দেশে ঢুকবে না।
সংবাদ সম্মেলনে বিভাগীয় শ্রমিক দলের সদস্য বলেন, কিছু মানুষের স্বার্থসিদ্ধি করার জন্য বন্দরের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা বিদেশিদের দেওয়ার পাঁয়তারা করছে। বিগত আওয়ামী লীগ সরকার পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল (পিসিটি) বিদেশি প্রতিষ্ঠান রেড সির হাতে তুলে দিয়েছে। আমাদের তৈরি করা সম্পদ বিদেশিদের হাতে তুলে দিতে পারি না। এখন যে প্রফিট হচ্ছে তা বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়া।
যখন বিদেশ থেকে কনটেইনার আসে তখন শিপিং এজেন্ট আইজিএম সাপোর্ট করে। শিপিং এজেন্ট কর্মচারী ভুল করলে সংশোধনের পন্থা রাখেনি কাস্টমস ও এনবিআর। ম্যানুয়ালি সংশোধন করতে ১৫-১৬ দিন সময় লাগে। তার বিরুদ্ধে কথা নেই। যার দোষ তাকে বলুন।
তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের কোনো কর্মচারী দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নয়, আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি। আমি অনুরোধ করব, আমরা দোষ করলে আমাদের বিরুদ্ধে লেখেন। কিন্তু এনসিটি সিসিটি বিদেশিদের হাতে না দেওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করুন।
প্রদা/ডিও







