ঢাকাসহ আশপাশের এলাকায় অনুভূত শক্তিশালী ভূমিকম্পে শিশুসহ অন্তত ৬ জনে। ৬ জনের মধ্যে ঢাকায় তিনজন, নরসিংদীতে দুইজন ও নারায়ণগঞ্জে একজন নিহত হন।
বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন আরও শতাধিক আহত ব্যক্তি। তাদের মধ্যে অনেকে গুরুতর অবস্থায় রয়েছেন।
নিহতদের মধ্যে দুইজন শিশু রয়েছে। এদের মধ্যে নারায়ণগঞ্জে দেয়াল ধসে এক বছরের শিশু ফাতেমা ও নরসিংসীতে ওমর নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়। এছাড়া, রাজধানীর কসাইতলীতে পাঁচ তলা ভবনের রেলিং ভেঙে পড়লে তিন পথচারি নিহত হন। তারা হলেন, সবুজ (৩০), মেডিকেল শিক্ষার্থী রাফিউল (২০) ও অজ্ঞাত একজন।
শুক্রবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক ডা. মঈনুল আহসান গণমাধ্যমকে জানান, ভূমিকম্পের পরপরই দেশের সব সরকারি হাসপাতালে জরুরি মেডিকেল টিম কাজ শুরু করেছে। পরিস্থিতি সরাসরি মনিটর করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
হাসপাতাল থেকেও আহতের সংখ্যা বাড়ার তথ্য পাওয়া গেছে। স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে ১০ জন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আরও ১০ জন এবং গাজীপুরের তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০ জন আহত চিকিৎসাধীন আছেন। নরসিংদী জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন অন্তত ৪৫ জন, যাদের মধ্যে তিনজনকে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ঢাকায় রেফার করা হয়েছে। একটি ১০০ শয্যার হাসপাতালে আরও ১০ জন আহত ভর্তি আছেন বলে জানানো হয়েছে।
ডা. মঈনুল আহসান জানান, জরুরি চিকিৎসা–সেবা নিশ্চিত করতে হাসপাতালগুলোতে সরঞ্জাম ও ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, পরিস্থিতি আমরা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। সকল হাসপাতালকে সতর্ক অবস্থায় থাকতে বলা হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ভূমিকম্প–পরবর্তী পরিস্থিতিতে আতঙ্ক না ছড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সরকারি নির্দেশনা মেনে চলা এবং প্রয়োজন ছাড়া অযাচিত ভিড় এড়িয়ে চলার আহ্বান জানানো হয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানো হয়েছে এবং আহতদের দ্রুত ও সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সরকারি পর্যায়ে তৎপরতা চলছে।
প্রদা/ডিও





