বাংলাদেশের একক বৃহত্তম রপ্তানি বাজার যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি পোশাক (আরএমজি) রপ্তানি আগস্ট থেকে অক্টোবরের মধ্যে প্রায় ৩ শতাংশ কমেছে। খাত সংশ্লিষ্টরা গত আগস্টে ট্রাম্প প্রশাসন আরোপিত নতুন পাল্টা শুল্ককেই (রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ) এই পতনের জন্য দায়ী করছেন।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের (২০২৫-২৬) আগস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত মার্কিন বাজারে আরএমজি রপ্তানি হয়েছে ১.৭৯ বিলিয়ন ডলার, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৫৩ মিলিয়ন ডলার বা ২.৮৮ শতাংশ কম।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে মোট রপ্তানি দাঁড়িয়েছে ২.৫৯ বিলিয়ন ডলার, যেখানে বিগত অর্থবছরের একই সময়ে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ২.৪৬ বিলিয়ন ডলার; অর্থাৎ ৫.১৪ শতাংশের একটি সামান্য প্রবৃদ্ধি। এই প্রবৃদ্ধি মূলত জুলাই মাসের চালানে শক্তিশালী উল্লম্ফনের কারণে হয়েছে, যা ছিল ১৯ শতাংশ।
শিল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নতুন শুল্ক ৭ আগস্ট কার্যকর হওয়ার আগে অগ্রিম ক্রয়ের কারণেই এ প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে।
গত আগস্ট থেকে ট্রাম্প প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করা বেশিরভাগ পণ্যের ওপর উল্লেখযোগ্য শুল্ক আরোপ করেছে। নতুন শুল্ক কাঠামোর আওতায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক অন্যান্য পণ্যের সঙ্গে অতিরিক্ত ২০ শতাংশ শুল্কের আওতায় পড়েছে।
শুধু বাংলাদেশ নয়, চীন, ভারত, পাকিস্তান, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়াসহ প্রায় সব প্রতিযোগী দেশই এই নতুন শুল্কের আওতায় এসেছে। তাদের মধ্যে চীন ও ভারতের ওপর আরোপিত শুল্ক বাংলাদেশের তুলনায় আরও বেশি।
এর ফলে বাংলাদেশি রপ্তানিকারকদের প্রত্যাশা ছিল, মার্কিন ক্রেতারা চীন ও ভারত থেকে অর্ডার সরিয়ে বাংলাদেশে আনবে। কিন্তু বাস্তবে তেমনটি ঘটেনি।
নতুন শুল্ক আরোপের পর চীন, ভারত বা অন্যান্য দেশ থেকে রপ্তানি কমেছে কি না—এ ব্যাপারে এখনো কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্য মেলেনি। মার্কিন বাণিজ্য বিভাগের একটি শাখা অফিস অফ টেক্সটাইলস অ্যান্ড অ্যাপারেল (ওটিইএক্সএ) গত জুলাই থেকে তাদের পোশাক আমদানি-সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করেনি। ফলে অন্যান্য দেশের যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি বেড়েছে নাকি কমেছে, তা স্পষ্ট নয়।
এদিকে ভারতীয় গণমাধ্যমে জানানো হয়েছে, নতুন শুল্ক আরোপের পর আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রে দেশটির বস্ত্র রপ্তানি কমেছে।
প্রদা/ডিও






