জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে আগামী ১৭ নভেম্বর রায় ঘোষণার তারিখ ধার্য করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি)।
আজ বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল রায় ঘোষণার এই তারিখ ধার্য করেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য সদস্যরা হলেন— বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
গত ২৩ অক্টোবর এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ এই তারিখ ধার্য করেন।
মামলার আসামিদের মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল পলাতক রয়েছে। কারাগারে আটক সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন রাজসাক্ষী হয়েছেন।
এই মামলায় মোট ২৮ কার্যদিবসে ৫৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরার কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন নিজের দায় স্বীকার করে রাজসাক্ষী হয়ে ট্রাইব্যুনালে এরই মধ্যে সাক্ষ্য দিয়েছেন। শুনানিকালে শুধুমাত্র মামুনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
মামলাটিতে তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ আনে প্রসিকিউশন। আনুষ্ঠানিক অভিযোগ মোট আট হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার। এরমধ্যে তথ্যসূত্র দুই হাজার ১৮ পৃষ্ঠার, জব্দ তালিকা ও দালিলিক প্রমাণাদি চার হাজার পাঁচ পৃষ্ঠার এবং দুই হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠার শহীদদের তালিকার বিবরণ রয়েছে।
এদিকে, রায় ঘোষণা উপলক্ষে গতরাত থেকেই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সামনে কড়া নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সকালে হাইকোর্ট নিরাপত্তা বিভাগের ইন্সপেক্টর (অপারেশন) জাহাঙ্গীর বিষয়টি নিশ্চিত করে টিবিএসকে বলেন, ‘নিরাপত্তার স্বার্থে বেষ্টনী তৈরি করা হয়েছে, যাতে যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়ানো যায়। সেনাবাহিনী, বিজিবি ও গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারাও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দায়িত্ব পালন করছেন।’
প্রদা/ডিও






