রোববার (৯ নভেম্বর) দিবাগত রাতে রাউজানের নোয়াপাড়ায় আইয়ুব আলী সওদাগরের বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে হাকিম হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ৪টি বিদেশি পিস্তল, ১টি রিভলভার, ১ টি চায়না রাইফেল, ১ টি শট গান, ৪৯ রাউন্ড রাইফেলের গুলি, ১৭ রাউন্ড শর্টগানের কার্তুজ, ১৯ রাউন্ড পিস্তলের গুলি, ৭টি ম্যাগজিন, ২টি দেশীয় রামদা, ১টি রকেট ফ্লেয়ার, ৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ২৫০ গ্রাম গাঁজা এবং ৯৬ হাজার নগদ টাকাসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ সুপার জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ৩১ অক্টোবর রাউজানের বাগোয়ান ইউনিয়নের গরীব উল্লাহ পাড়া এলাকা থেকে মো. আব্দুল্লাহ খোকন প্রকাশ ল্যাংড়া খোকনকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে এবং পরবর্তীতে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। খোকনের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ২ নভেম্বর রাউজানের নোয়াপাড়া ইউনিয়নের চৌধুরীহাট এলাকা থেকে হত্যাকাণ্ডে জড়িত মো. মারুফকে গ্রেপ্তার করা হয়। মারুফের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্রের অবস্থান জানা যায়। যা মো. সাকলাইন হোসেনের হেফাজতে ছিল। পরবর্তীতে ৪ নভেম্বর রাতে হাটহাজারী থানার একটি বিশেষ টিম রাউজানের নোয়াপাড়ায় অভিযান চালিয়ে সাকলাইনকে গ্রেপ্তার করে। তার হেফাজত থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একনলা বন্দুক, একটি এলজি ও একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
বালুমহালের নিয়ন্ত্রণ ও স্থানীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানান তিনি।
প্রদা/ডিও






