চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম মনিরুজ্জামান জানিয়েছেন, বে টার্মিনালের ‘টার্মিনাল-ওয়ান’ ২০৩০ সালের মধ্যেই চালু করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী বছরের মাঝামাঝিতে নির্মাণকাজ শুরু করা গেলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই অপারেশন শুরু করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে বন্দরের শহীদ মো. ফজলুর রহমান অডিটোরিয়ামে বে টার্মিনাল সংক্রান্ত সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন বন্দর চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, “আমরা যে প্রকল্পগুলো হাতে নিয়েছি, সবকিছুই পাবলিক–প্রাইভেট পার্টনারশিপ (PPP) গাইডলাইনের শতভাগ ধাপ অনুসরণ করে করা হচ্ছে। এতে অভূতপূর্ব অগ্রগতি হয়েছে। আশা করি আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই ইনশাআল্লাহ একটি সাফল্যের গল্প দেখাতে পারব।”
মাল্টিপারপাস টার্মিনাল সম্পর্কে তিনি বলেন, এখানে কনটেইনার ও জেনারেল কার্গো উভয় ধরনের জাহাজ হ্যান্ডলিং করা যাবে। “বিশ্বব্যাপী গিয়ার ভ্যাসেল কমে যাচ্ছে। তাই ভবিষ্যতের চাহিদা বিবেচনায় আমরা গিয়ারলেস ভ্যাসেল অপারেশনের সুযোগ রাখছি। টার্মিনালের পূর্ণ দক্ষতা নিশ্চিত করতে বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত নিতে হবে,” বলেন তিনি।
চেয়ারম্যান আরও জানান, প্রতিটি প্রকল্পে মার্কেট অ্যানালাইসিস, ফিন্যান্সিয়াল রিটার্ন, সামাজিক ও পরিবেশগত প্রভাবসহ সব দিক বিবেচনায় বিশ্বমানের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কাজ করছে।
তিনি বলেন, “আমরা এমন একটি বিশ্বমানের প্রকল্প তৈরি করতে চাই, যা শত বছর টিকবে এবং বড় দুর্যোগেও প্রভাবিত হবে না,”
বন্দর চেয়ারম্যান আরও বলেন, বে টার্মিনাল চালু হলে ইউরোপের দিকে সরাসরি জাহাজ পাঠানো সম্ভব হবে, যা বাংলাদেশের উৎপাদন ও বাণিজ্যে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলবে। “বে টার্মিনাল না থাকায় প্রতিদিন প্রায় ১ মিলিয়ন ডলার ক্ষতি হচ্ছে। এই টার্মিনাল চালু হলে তিন বছরের মধ্যেই সেই ক্ষতি পুষিয়ে আসবে,” যোগ করেন তিনি।
তার মতে, বে টার্মিনাল বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশে ম্যানুফ্যাকচারিং বিনিয়োগের জোয়ার বইবে। “বিশ্বের বড় বড় কোম্পানি ইতোমধ্যে এখানে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখাচ্ছে,” বলেন তিনি।
প্রদা/ডিও






