গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার শেয়ারবাজারে কিছুটা ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মিললেও চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার (২ নভেম্বর) ফের দরপতন হয়েছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পাশাপাশি সবকটি মূল্যসূচক কমেছে।
ডিএসইতে দরপতনের পাল্লা ভারী হলেও অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে দাম বাড়ার তালিকায় বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ফলে বাজারটিতে মূল্যসূচক বেড়েছে। দুই বাজারে সূচকের দুই চিত্র থাকলেও উভয় বাজারে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। ডিএসইতে লেনদেন বেড়ে ৫০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
এদিন ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতে সূচকের ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মেলে। কিন্তু লেনদেনের শেষ দিকে দাম কমার তালিকায় চলে আসে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান। ফলে দাম কমার তালিকা বড় হওয়ার পাশাপাশি সবকটি মূল্যসূচক কমেই দিনের লেনদেন শেষ হয়।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ১২৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ২০৭টির। আর ৬০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
ভালো কোম্পানি বা ১০ শতাংশ অথবা তার বেশি লভ্যাংশ দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৭২টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে ১১৬টির দাম কমেছে এবং ২৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। মাঝারি মানের বা ১০ শতাংশের কম লভ্যাংশ দেওয়া ২০টি কোম্পানির শেয়ার দাম বাড়ার বিপরীতে ৫১টির দাম কমেছে এবং ৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ না দেওয়ার কারণে ‘জেড’ গ্রুপে স্থান হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৩৬টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৪০টির এবং ২৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। আর তালিকাভুক্ত ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৮টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে ১৩টির দাম কমেছে এবং ১৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৬ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ১১৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৩ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৭৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯৮২ পয়েন্টে নেমেছে।
সবকটি মূল্যসূচক কমলেও ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৫৪৪ কোটি ৭৬ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৪৭৬ কোটি ১০ টাকা। এ হিসাবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ৬৮ কোটি ৬৬ লাখ টাকা।
এই লেনদেনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে মনোস্পুল পেপারের শেয়ার। কোম্পানিটির ৩৩ কোটি ৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা আনোয়ার গ্যালভানাইজিংয়ের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৭ কোটি ৬৪ লাখ টাকার। ২০ কোটি ৯৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ওরিয়ন ইনফিউশন, সামিট এলায়েন্স পোর্ট, সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল, রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, বিচ হ্যাচারি, সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ এবং সোনালী পেপার।
অন্য শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ২৭ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৬ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯২টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৬১টির এবং ৩৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। মোট লেনদেন হয়েছে ১৬ কোটি ৫১ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ১৪ কোটি ৮৯ লাখ টাকা।
প্রদা/ডিও






