মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজায় আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা বাহিনীতে কাতারের সেনা অংশগ্রহণের ইঙ্গিত দিলেও, সেটি কার্যত উপেক্ষা করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তার স্পষ্ট বক্তব্য—গাজায় কোন দেশ সৈন্য পাঠাবে, তা নির্ধারণ করবে ইসরায়েলই।
রোববার (২৬ অক্টোবর) ইসরায়েলি মন্ত্রিসভার বৈঠকে নেতানিয়াহু বলেন, আমরা আমাদের নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণে আছি। আন্তর্জাতিক বাহিনীর ক্ষেত্রেও আমরা স্পষ্ট করে দিয়েছি কোন দেশের সৈন্য আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য, সেটি নির্ধারণ করবে ইসরায়েল। আমরা এভাবেই কাজ করছি এবং ভবিষ্যতেও করব।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ-পরবর্তী শান্তিরক্ষার কাজে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের উদ্যোগে একটি আন্তর্জাতিক বাহিনী গঠনের পরিকল্পনা চলছে। তবে এতে কোন কোন দেশ সেনা পাঠাবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে, গাজায় মার্কিন সেনা পাঠানো হবে না। প্রস্তাবিত এই বাহিনীতে মিসর, ইন্দোনেশিয়া ও উপসাগরীয় আরব দেশগুলোর সৈন্য থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ট্রাম্প বলেন, বাহিনীটি খুব দ্রুতই গঠন করা হবে, এখন নেতৃত্ব বাছাইয়ের প্রক্রিয়া চলছে।
এদিকে, ইসরায়েল সফররত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও শুক্রবার বলেন, আন্তর্জাতিক বাহিনী গঠিত হবে এমন দেশগুলোকে নিয়ে, যাদের উপস্থিতিতে ইসরায়েল স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। তবে তুরস্কের সম্পৃক্ততা নিয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান তিনি। রুবিও আরও বলেন, গাজার ভবিষ্যৎ শাসনব্যবস্থা নিয়ে ইসরায়েল ও অংশীদার দেশগুলোকে এখন সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে হবে। তবে এতে হামাস থাকতে পারবে না।
তিনি জানান, গাজায় বহুজাতিক বাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে জাতিসংঘের প্রস্তাব বা আন্তর্জাতিক চুক্তির সম্ভাবনা নিয়ে মার্কিন কর্মকর্তারা বিভিন্ন পক্ষের মতামত নিচ্ছেন।
ট্রাম্প প্রশাসন গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী গঠনের জন্য আরব দেশগুলোর অর্থ ও সৈন্য চাইছে। তবে নেতানিয়াহু বলেন, ইসরায়েল একটি স্বাধীন দেশ। আমেরিকান প্রশাসন আমাকে নিয়ন্ত্রণ করে বা আমাদের নিরাপত্তানীতি নির্ধারণ করে, এমন ধারণা সম্পূর্ণ ভুল।
প্রদা/ডিও







